Blogger Widgets

ডিজাইনারদের জন্য ৫ টি অসাধারন সফটওয়্যার, যা হয়তো ফটোশপকে ভুলতে সাহায্য করবে!!

ফটোশপ সম্পর্কে সাধারন আম জাম কাঠাল জনতার মনোভাব একেক জনের কাছে একেক রকম। বিশেষ করে আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ ফটোশপ বলতে বুঝায় কোন কালো মানুষের ছবিকে ফর্সা করা, স্টুডিও রুমে বসে তুলা ছবিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে আম জনতার কথা বাদ দিলেও খুব কম মানুষই জানেন যে ফটোশপ শুধুমাত্র গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য নয় বরং ওয়েব ডিজাইনারদের জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সফটওয়্যার। তবে ওয়েব ডিজাইনারদের জন্য ফটোশপের জনপ্রিয়তার মুলে রয়েছে CSS3PS কিংবা FontAwesomePS এর চমৎকার কিছু প্লাগিন। যেগুলো ওয়েব ডিজাইনারদের ডিজাইনগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করার পাশাপাশি এক অনন্য উচ্চতায় পৌছিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন জগতে বৈপ্ললিক পরিবর্তন আসাতে যেমন, রেসপন্সিভ ওয়েব ডিজাইন, CSS Pre-processors, CSS ফ্রেমওয়ার্ক, Resolution-Independent Graphics (SVG) ইত্যাদির কারনে ফটোশপের সাথে ওয়েব ডিজাইনের সাথে সম্পর্ক একটু মন্দার দিকেই যাচ্ছে। কারন ফটোশপ এতো সব সুবিধা একা দিতে সক্ষম হচ্ছেনা। তবে চিন্তার কোন কারন নেই, কারন প্রযুক্তির বিকাশ কখনো থেমে থাকেনা। সব সময় বিকল্প কিছুরও বিকল্প পাওয়া যায়। আজ আমরা দেখবো ফটোশপের বিকল্প এমন ৫টি অ্যাপ্লিকেশন যেগুলো ডিজাইনিং জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আপনি যদি হয়ে থাকেন একজন ওয়েব কিংবা গ্রাফিক্স ডিজাইনার তাহলে এগুলো হয়তো আপনার ডিজাইনিং ধারনাকেই বদলে দিতে পারে।

Webflow - কোড না লিখে তৈরী করুন রেসপন্সিভ ওয়েবসাইট

Webflow শুধুমাত্র ড্রাগ & ড্রপ করে আপনাকে চমৎকার সব ওয়েব সাইট তৈরী করতে সাহায্য করবে যদি আপনি একজন ওয়েব ডিজাইনার না হয়ে থাকেন। Webflow মূলত Bootstrap Grid ভিত্তিক ওয়েব পেইজ লেআউট তৈরী করে যা আপনাকে সম্পূর্ন রেসপন্সিভ ওয়েব তৈরীতে সহায়তা করে। এছাড়াও Webflow স্ট্যান্ডার্ড ওয়েব ফরমেটিং ব্যবহার করে যেমন- Blocks, Lists, Text Formatting ইত্যাদি যার ফলে খুব সহজে ওয়েব স্ট্যান্ডার্ড বজায় রেখে হাই কোয়ালিটি ওয়েব পেইজ তৈরী করা যায়।

আপনি সফটওয়্যারটির রাইট সাইট প্যানেল থেকে খুব সহজেই বিভিন্ন এলিমেন্টের স্টাইল, প্রোপার্টিস ইত্যাদি পরিবর্তন করতে পারবেন। তারপর যখনি আপনার ডিজাইন শেষ হবে তখনি আপনি সমস্ত ডিজাইনকে HTML এবং CSS কোডে কনভার্ট করতে পারবেন এবং আপনার টিমের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।

Avocode – ডিজাইনার এবং ডেভেলপারের মাঝে সেতু বন্ধন

যারা PSD – HTML করেন তাদের জন্য Avocode এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারেনা। কারন Avocode অ্যাপ্লিকেশনটি যেকোন PSD ফাইল সাপোর্ট করে এবং সেই ফাইলকে চোখের পলকে HTML & CSS ভিত্তিক ওয়েব পেইজে রূপান্তরিত করে। যেখানে আপনি চাইলেই প্রাপ্ত কোডগুলোকে মোডিফাই করে পেইজে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে পারবেন। Avocode ফাইলে বিদ্যমান যেকোন ধরনের ইমেইজ SVG কে খুব সহজেই এক্সট্রাক্ট করতে পারে।

তাছাড়া আপনি খুব সহজেই CSS কোডগুলোকে Less, SASS or Stylus ফর্মে কনভার্ট করতে পারবেন। অধিকন্তু কোন কাজে যদি ভুল হয়ে যায় তাহলে মুল ডিজাইনকে অক্ষত রেখে আপনি যেকোন স্টেইজ থেকে রিভার্ট করতে পারবেন। আপনার কাজের জন্য এর চেয়ে বেশি আর কী চাই বলুন?

Macaw – এখন কোড না লিখে শুধু ড্রয়িং করুন

Macaw আপনাকে ওয়েব লেআউট এবং ওয়েব এলিমেন্ট ডিজাইন করতে এমন ভাবে সাহায্য করবে যেমনটা আপনি ফটোশপে কোন ইমেজকে ইডিট করে থাকেন। আপনি Macaw এর সাহায্যে শুধুমাত্র কলাম এবং ব্লক তৈরী করে তাদের পজিশনিং, টাইপোগ্রাফি এডজাস্ট করতে পারবেন। একই সাথে একাধিক এলিমেন্টের স্টাইল পরিবর্তন করতে পারবেন এবং আপনার ব্যবহৃত এলিমেন্টগুলোকে পরবর্তিতে ব্যবহারের জন্য সেগুলোকে লাইব্রেরীতে জমা করে রাখতে পারবেন।

আপনি যদি কোন রেসপন্সিভ ডিজাইন করতে চান তাহলে Macaw আপনাকে সব ডিভাইজ অনুযায়ী আপনার ওয়েব পেইজকে অপটিমাইজ করে দিবে। তারপর যখনি আপনার ডিজাইন শেষ হবে তখনি পেইজটি সম্পূর্ণ HTML এবং CSS পেইজে রূপান্তরিত হয়ে যাবে।

Sketch – প্রফেশনাল ডিজিটাল ডিজাইন

গ্রাফিক্স কিংবা ওয়েব দুটোর জন্য Sketch একটি আদর্শ সফটওয়্যার। এটা bitmap অবজেক্টের পরিবর্তে ভেকটর ভিত্তিক অবজেক্ট তৈরী করে যার ফলে ক্যানভাস সাইজ ছোট করা হলেও ডিজাইন কোয়ালিটি নষ্ট হয়না। এটার বিল্ট-ইন গ্রিড সিস্টেম যেকোন অবজেক্টকে প্রপারলি ওয়েব লেআউটে প্লেস করতে সহযোগিতা করে।

এছাড়াও Sketch ওয়েবকিট ব্রাউজারগুলোর জন্য একই ধরনের ফন্ট রেন্ডার করে। সুতরাং আপনার ডিজাইন করা ওয়েব কন্টেন্টের ফন্ট ব্রাউজারে কেমন দেখাবে এটা নিয়ে কোন দুঃচিন্তা করতে হবে না। সর্বপরি Sketch CSS কোডগুলোকে লেয়ার বাই লেয়ার এক্সপোর্ট করতে পারে। যা ডিজাইনারদের জন্য এক বিশাল সুবিধা।

Antetype – আপনার সৃজনশীলতা বিকাশের মাধ্যম

Antetype হলো একটি ভেক্টর ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন যেটা মুলত ভিজ্যুয়াল ইন্টারেক্টিভ ইলেমেন্টের কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন- গ্র্যাডিয়েন্ট, ড্রপ-শ্যাডোও, ইনার-শ্যাডোও, টেক্স-শ্যাডো, বর্ডার স্টাইল, রাউন্ডেড কর্ণার ইত্যাদি কাজে ব্যহৃত হয়। এছাড়াও Antetype আপনার প্রজেক্ট থেকে সরাসরি শতাধিক widgets ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে থাকে। রেসপন্সিভ ডিজাইনের জন্য সফটওয়্যারটির কোন জুড়ি নেই।

আশা করি টিউনটিতে উল্লেখকৃত প্রত্যেকটি অ্যাপ্লিকেশন আপনাদের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সহযোগিতা করতে সক্ষম হয়েছে। আপনারা যদি অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে আপনাদের সাথে টেক্কা দিয়ে আর কেউ পারবে না। টিউনের সকল প্রচেষ্টা সফল হোক।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

আপনি কি অডিও বা মিউজিক ফাইল এডিট করার কথা ভাবছেন? তাহলে সেরা সফটওয়্যার নিয়ে এই টিউনটি শুধুই আপনার জন্য।

আমরা গান গায়তে যেমন ভালোবাসি তেমনি গান শুনতেও ভালোবাসি। গান কথাটির সাথে যেন হৃদয়ের এক গভীরতর টান লুকিয়ে আছে। তাই গান কিংবা কবিতাকে বলা হয় হৃদয়ের খোরাক। সেই গানকে বিভিন্ন ভাবে মোডিফাই করে আমাদের নিজেদের কাছে শ্রুতিমধুর করার প্রচেষ্টা তাই সব সময় থাকে। বর্তমানে সফটওয়্যারের দুনিয়ায় এরকম মিউজিক বা অডিও ফাইলকে এডিট করার জন্য অনেক সফটওয়্যার আছে। কিন্তু প্রয়োজনের সাথে সফটওয়্যারের কাজ, সাইজ, দাম কিংবা তার মেডিসিন ফাইলের সামঞ্জস্য খুব কম হয়। তাই কথিত দামী এবং অনেক বড় সাইজের সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করেও আমাদের মনে শান্তি আসেনা। আজ আমি আপনাদের সাথে এমন একটা সফটওয়্যারের পরিচয় করিয়ে দিবো যেটা দামে ফ্রি, সাইজে কম এবং কাজে শতভাগ পারদর্শী। আশা করছি আজ সফটওয়্যারটি ব্যবহারের পর আপনার অতৃপ্ত মন তৃপ্তির ঢেকুর তুলবে। মনে মনে এটা ধরে নিতে পারেন যে, প্রফেশনার অডিও এডিটর হতে আপনার আর কয়েক মূহুর্ত দেরি। টিউন শেষে নিজেকে আপনি একজন অডিও এডিটর হিসাবে পরিচয় দিতে পারবেন। কারও কাছে পরিচয় না দিলেও অন্তত নিজের কাছে নিজেই পরিচিত হতে পারবেন। যাহোক চলুন তাহলে সফটওয়্যারটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

ocenaudio – সেরা অডিও এডিটিং সফটওয়্যার

                                             https://youtu.be/oOhAM7pfh8A


শিরোনাম দেখেই হয়তো বুঝতে পারছেন আমি এই সফটওয়্যারটিকে সেরা অডিও এডিটিং সফটওয়্যার হিসাবে উল্লেখ করেছি। আমার সাথে হয়তো অনেকেই একমত হয়েছেন আবার অনেকেই হতে পারেননি। তবে আমার বিশ্বাস সফটওয়্যারটির ফিচারগুলো জানার পর এবং দেখার পর আপনাদের মাঝে এরকম মতভেদ আর থাকবে না। ডাউনলোড শুরু করার পূর্বে চলুন তাহলে একনজরে ফিচারগুলো দেখে নেই।

ক্রস প্লাটফর্ম সাপোর্ট (সব অপারেটিং সিস্টেমে চলবে)

  • বাংলাদেশীরা হলো উইন্ডোজের জাতি। তাই কোন সফটওয়্যার বিষয়ে টিউন করলে আমরা কোন প্রকার ভাবনা চিন্তা ছাড়ায় উইন্ডোজের সফটওয়্যার নিয়ে লিখে ফেলি। কিন্তু উইন্ডোজের পাশাপাশি ম্যাক কিংবা লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন এরকম লোকও কিন্তু কম নয়। আমি আমার সর্বশেষ টিউনগুলোতে তাই সব ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে চলে এমন সফটওয়্যার নিয়ে লিখেছি। আজকের এই সফটওয়্যারটিও বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় উইন্ডোজ, ম্যাক এবং লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমে চলবে। সফটওয়্যারটির ইন্টারফেইস প্রত্যেকটা অপারেটিং সিস্টেমে প্রায় একই রকম হওয়াতে আপনাকে কষ্ট করে আলাদা করে কিছু শিখতে হবেনা। যেকোন অপারেটিং সিস্টেমে সফটওয়্যারটি একই ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

  • ocenaudio সফটওয়্যারটির ডেভেলপমেন্টের জন্য একটি অতি শক্তিশালি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরী করা হয়েছে যাকে আমরা Ocen Framework হিসাবে চিনি। এই ফ্রেমওয়ার্কটি সফটওয়্যারটির অডিও এডিটিং, বিশ্লেষণ, এবং ম্যানিপুলেশনের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সুবিধা যুক্ত করেছে। তাছাড়াও এই সফটওয়্যারে ব্যবহৃত Qt Framework সফটওয়্যারটিকে যেকোন ধরনের প্লাটফর্ম সাপোর্টে সহযোগিতা করে।

ইফেক্টগুলোর তাৎক্ষণিক প্রিভিউ দেখা যাবে

  • আপনি অডিও ফাইলটির যখনি কোন প্রপার্টিস বা কোন অংশের পরিবর্তন করবেন তখনি সেটার ফলাফল প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। এরফলে ফাইলের কোন অংশে কি আছে এবং কিভাবে সেগুলোর পরিরর্তন করা যাবে সে বিষয়ে খুব ভালো একটা ধারনা পাবেন। যেমনটা খাতা কলম নিয়ে কোন কিছু এডিটিং করা যায় সেরকম। আপনি চাইলেই কোন অংশের পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা পরিমার্জন করে সেটার ফলাফল তাৎক্ষনিক ভাবে প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। এর ফরে আপনার কাজ হবে শতভাগ নিখুঁত এবং আকর্ষনীয়।

মাল্টিপল সিলেকশন সুবিধা

  • জটিল সব অডিও ফাইলকে দ্রুত এডিটিং এর জন্য সফটওয়্যারটিতে রয়েছে মাল্টি সিলেকশন সুবিধা। এর ফলে আপনি একটি অডিও ফাইলের ভিন্ন ভিন্ন অংশ একসাথে সিলেক্ট করে সেগুলোকে এডিট করতে পারবেন, প্লে করে শুনতে পারবেন এবং সেগুলোতে বিভিন্ন ইফেক্ট যুক্ত করতে পারবেন।

  • উদাহরণ হিসাবে বলা যেতে পারে ধরুন আপনি কারও সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন। এরফলে যে সাক্ষাৎকার দিচ্ছে তার এবং আপনার কথাগুলো একসাথে রেকর্ড হবে। এই অবস্থায় আপনি চাইলে শুধু মাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কথাগুলোকে মাল্টিপল সিলেকশনের মাধ্যমে বিভিন্ন ইফেক্ট দিতে পারবেন কিংবা শুধুমাত্র তার কথা গুলোকেই রেখে দিতে পারবেন।

বিশাল আকারের ফাইলগুলোকে কার্যকর ভাবে এডিট করা যাবে

  • সাধারনত যা হয়, খুব বিশাল আকারের ফাইল এডিট করতে গেলে এডিটির গুলো হ্যাং হয়ে যায় কিংবা ল্যাগ করে (আটকে আটকে যায়)। কিন্তু এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করলে ফাইলের আকার যতোই বড় হোক কিংবা যতোই হাই কোয়ালিটির ফাইল হোক আপনি খুব সহজেই ফাইলের কোয়ালিটি ঠিক রেখে এডিট করতে পারবেন। সফটওয়্যারটির এই সুবিধার মুলে রয়েছে যে কারনটি সেটা হলো, সফটওয়্যারটি আপনার কম্পিউটারেরে র‌্যামের জায়গা নষ্ট না করেই বিশাল আকারের ফাইল গুলোকে ওপেন রাখতে সক্ষম। যার ফলে খুব দ্রুত গতিতে আপনি কাট, কপি কিংবা পেস্ট সুবিধা পাবেন। একবার ব্যবহার করে দেখুন, নিজেই আশ্চর্য হয়ে যাবেন।

ফুল ফিচার্ড স্পেকট্রোগ্রাম

  • স্পেকট্রোগ্রাম মুলত কোন অডিও ফাইলের ফ্রিকোয়েন্সি কিংবা ওয়েব ল্যাংথ (তরঙ্গ দৈর্ঘ্য) দেখায়। সফটওয়্যারটি কোন অডিও ফাইলের প্রত্যেকটি অংশের পরিপূর্ণ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য দেখাবে। যার ফলে আপননি খুব সহজেই আপনার অডিও কন্টেন্টের সিগনাল গুলোকে সম্পূর্ণ পরিষ্কার ভাবে বিশ্লেষণ করে ফাইলের মান উন্নয়ন করতে পারবেন।

  • অ্যাডভান্স ব্যাবহার কারীরা খুব আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করবেন স্পেকট্রামের পরিবর্তনগুলো অ্যাপ্লাই করার পর তাৎক্ষনিকভাবে সেটার ফলাফল দেখতে পাওয়া যায়। স্পেকট্রাম ডিসপ্লে খুবই সুপার সেন্সেটিভ যার ফলে আপনি যখনি কোন ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড সংখ্যা, উইন্ডো টাইপ কিংবা সাইজ পরিবর্তন করবেন তখনি ডাইনামিক ভাবে স্পেকট্রাম ডিসপ্লে আপডেট হয়ে যাবে।

ocenadio - ডাউনলোড এবং ইনস্টলেশন

সফটওয়্যারটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে এবং আপনাদের প্রয়োজনের সাথে যদি এর ফিচারের সামঞ্জস্য থাকে তাহলে নিচের অফিশিয়াল ডাউনলোড লিংক থেকে আপনার কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম এবং তার ভার্সন অনুযায়ী সফটওয়্যারটি ঝটপট ডাউনলোড করে নিন। সফটওয়্যারটি ফ্রিওয়্যার হওয়াতে এর জন্য আপনাকে কোন মূল্য পরিশোধ করতে হবে না। তবে ডাউনলোড শেষে টিউনার অন্তত একটা ধন্যবাদের দাবিদার। তাছাড়া সফটওয়্যারটির সাইজ মাত্র ১৬ মেগাবাইটের মতো হওয়ায় আপাততো ডাউনলোড সমস্যা নিয়েও ভাবতে হবেনা।

আপনি যদি সফটওয়্যারটি সফলভাবে ডাউনলোড করে থাকেন তাহলে ডাউনলোড শেষে স্বাভাবিক নিয়মে ইনস্টল করুন। ইনস্টলেশনের পর সফটওয়্যারটি ওপেন করলেই সেটা আপনার ব্যবহারের জন্য রেডি। তবে যারা নতুন তাদের জন্য রয়েছে টিউনের বাকি অংশ।

 

ocenaudio - যেভাবে ব্যবহার করবেন

যদিও সফটওয়্যারটির ব্যবহার পদ্ধতি খুবই সহজ। তবুও যারা নতুন কিংবা প্রফেশনাল মানের কাজ করতে চান তারা সফটওয়্যারটির সম্পূর্ণ ফিচার সম্বলিত নিচের ৮মিনিটের এই ভিডিও টিউটরিয়ালটি দেখে নিন। আশা করি আপনাদের বুঝতে আর কোন সমস্যা হবেনা।
মনে হয় টিউটরিয়ালটি ভালোভাবে দেখেছেন এবং কাজ শুরু করে দিয়েছেন। সফটওয়্যারটির ব্যবহার পদ্ধতি যতোটুকু ভিডিওতে দেওয়া আছে ততোটুকু জানলেই আশা করি যথেষ্ট। বাকীটুকু আপনার উপর্যুপরি ব্যবহারের উপর নির্ভর করবে। প্রত্যেকটি কাজে আপনার সফলতা কামনা করছি। সেই সাথে আগামী ৩০.০৪.২০১৫ তারিখ রোজ বৃহঃস্পতি বার আমার ১০০ তম টিউন দেখার আমন্ত্রন জানাচ্ছি।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিতে জনপ্রিয় ফাইল শেয়ারিং সাইট গুগল ড্রাইভ, ওয়ান ড্রাইভ, ড্রপবক্স এবং কপি.কম সহ যেকোন কিছুর ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী করুন! না দেখলে ‘সহজ’ কথাটির সংজ্ঞা আপনার কাছে অজানা থাকবে সারা জীবন!!

সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি বর্তমান সময়ের সেরা কিছু ফাইল শেয়ারিং সাইট থেকে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী করার সব চেয়ে সহজ উপায় সম্বলিত আমার আজকের টিউন।
ফাইল শেয়ারিং প্রত্যেকটা প্রযুক্তি পিপাসুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা যারা বিভিন্ন সময়ে টেকটিউনসে কোন কিছু ডাউনলোড সম্পর্কিত টিউন করি তখন আমাদের উক্ত ডাউনলোডের জন্য জনপ্রিয় কিছু শেয়ারিং সাইটে ফাইল আপলোড করে সেখান থেকে শেয়ার করতে হয়। কিন্তু প্রত্যেকবার আমাদের সামনে যে ঝামেলাটা হয় সেটা হলো যখন আমরা সেই পাবলিক লিংকগুলোতে ক্লিক করি তখন সেটা উক্ত ফাইল শেয়ারিং সাইটের নিজস্ব ওয়েব সাইটে গিয়ে তার ডাউনলোড অপশন আসে। কিন্তু আমার অনেক টিউনে আপনারা দেখেছেন যে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করা মাত্র ডাউনলোড শুরু হয়ে যায়। অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবে প্রশ্ন করেছিলেন যে সেটা কীভাবে করা যায়? আজকের টিউনে আমরা দেখবো কীভাবে খুব সহজে কোন কিছু ডাউনলোডের জন্য ডাইরেক্ট লিংক তৈরী করা যায়। যাতে ক্লিক করলেই ডাউনলোড শুরু হয়ে যায়। তবে টিউনটি শুরু করার পূর্বে আমি এতোটুকু অনুমান করে নিচ্ছি যে আপনারা কীভাবে ফাইল আপলোড করতে হয় এবং ডাউনলোড করতে হয় সেটা জানেন। কারন সেটা না জানলে আজকের টিউনটি মূল্যহীন মনে হবে। সহজ বিষয়টা আলোচনায় এনে টিউনের আকার আপাততো বাড়ালাম না।

গুগল ড্রাইভে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী

গুগল ড্রাইভ হলো বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফাইল শেয়ারিং প্লাটফর্ম। গুগল ড্রাইভ গুগল এর একটি সেবা বিধায় এটা নিয়ে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হচ্ছেনা। একটা গুগল ড্রাইভে প্রায় ১৫ গিগাবাইট ডাটা ফ্রি পাওয়া যায়। যাহোক, ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরীর জন্য নিচের নির্দেশনা অনুসরন।
  • যেকোন একটা ফাইল আপলোড করুন এবং আপলোড কমপ্লিট হলে সেটার উপর রাইট ক্লিক করে শেয়ার করুন। আপনি শেয়ারিং এর জন্য একটি URL পাবেন। চিত্রে দেখানো নির্দেশনার মতো খেয়াল রাখবেন যেন ফাইলটি পাবলিক করা থাকে। এবার URL টি কপি করুন। আপনার আসল কাজ শুরু হবে এখন।

  • ইমেজে নির্দেশিত URL টিতে লক্ষ্য করুন। এখানে "https://drive.google.com/file/d/" লেখাটির পরে এবং /edit?usp=sharing এর আগে পর্যন্ত একটি ইউনিক আইডি আছে। যেমন আমার এই চিত্রে  0B4pXonK4DQR5cFI0N3lHa2pSNEU আইডিটা আছে। আমাদের শুধুমাত্র এই আইডিটা লাগবে।
  • এখন আমাদের ফাইলের আইডিটা নিচের লিংকের FILE_ID এর জায়গায় পেস্ট করুন। তাহলেই ডাইরেক্ট লিংক তৈরী হয়ে যাবে।
"https://drive.google.com/uc?export=download&id=FILE_ID"
  • তারমানে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংকটি হবে ঠিক নিচের মতো।
"https://drive.google.com/uc?export=download&id=0B4pXonK4DQR5cFI0N3lHa2pSNEU"
  • এই লিংক আপনি এখন যেকোন জায়গায় শেয়ার করতে পারবেন। যে কেউ যদি উপরের লিংকে ক্লিক করে তাহলে গুগল ড্রাইভ উইন্ডো চালু না হয়ে ফাইলটি সরাসরি ডাউনলোড হওয়া শুরু করবে।

মাইক্রোসফট ওয়ান ড্রাইভে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী

আরও একটি জনপ্রিয় ফাইল শেয়ারিং সাইট হলো মাইক্রোসফটের ওয়ান ড্রাইভ। ৭ গিগাবাইট ফ্রি ফাইল শেয়ারিং এর সুবিধা যুক্ত এই সাইটটি মাইক্রোসফটের প্রত্যেকটা সেবার মতোই ব্যবহারকারীদের মন জয় করেছে। এবার আমরা দেখবো কীভাবে ওয়ান ড্রাইভের শেয়ার করা যেকোন ফাইলকে এক ক্লিকে ডাউনলোড করতে পারি।
  • যেকোন একটা ফাইল আপলোড করুন এবং আপলোড কমপ্লিট হলে সেটার উপর রাইট ক্লিক করে শেয়ার করুন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন ফাইলটি পাবলিক করা থাকে।

  • এবার Create Link এ ক্লিক করলে আপনি একটি URL পাবেন। মনে করি আপনার URL টি নিচের মতোন।
"https://onedrive.live.com/redir?resid=E61579C74A54100D%21166"
  • ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী করার জন্য কাজ খুবই অল্প। শুধুমাত্র redir? কথাটিকে download? দিয়ে রিপ্লেস করে দিন। এবার আপনার ফাইনাল লিংক হবে নিচের মতো যাতে ক্লিক করলেই অটোমেটেক ফাইল ডাউনলোড শুরু হবে।
"https://onedrive.live.com/download?resid=E61579C74A54100D%21166"

কপি.কম থেকে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী

এর আগে বর্ণিত গুগল ড্রাইভ কিংবা মাইক্রোসফট ওয়ান ড্রাইভে তৈরী করা ডাইরেক্ট লিংকগুলোতে ক্লিক করার পর ফাইল ডাউনলোড হতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। যদিও এটা খুব বেশি না তবে আমি চাচ্ছি ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করা মাত্র যেন ডাউনলোড শুরু হয়। কপি.কম থেকে শেয়ার করা ফাইলগুলোর জন্য আপনি এই সুবিধাটা পাবেন। ১৫ জিবি ফ্রি স্পেস এর এই কপি.কম তাই আমার কাছে সব চেয়ে ফেবারিট। চলুন তাহলে দেখে নেই কীভাবে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী করা যাবে।
  • যেকোন একটা ফাইল আপলোড করুন এবং আপলোড কমপ্লিট হলে সেটার উপর রাইট ক্লিক করে শেয়ার করুন। তারপর নিচের চিত্রের মতো করে URL টি কপি করে নিন। আমাদের কপি করা URL টি হলো - "https://copy.com/TOQYaOLGfQqY"।

  • এবার কপি করা URL ব্রাউজারে পেস্ট করুন এবং কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করার পরে এড্রেসবারে একটা নতুন URL পাবেন। এবার নতুনটি কপি করে রেখে পুরাতনটাকে ভুলে যেতে পারেন। মনে করি নতুন URL টি নিচের মতো।
"https://www.copy.com/s/TOQYaOLGfQqY/Alienware%20Eclipse%20Icons.zip"
  • এবার URL টি থেকে লাল চিহিৃত অংশগুলো মুছে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন প্রত্যেকটা URL এ এরকম যতো অংশ পাবেন সবগুলো মুছে ফেলতে হবে। নতুন URL টি দেখতে নিচের মতো হবে। এটাই আপনার ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক যাতে ক্লিক করলেই ডাউনলোড শুরু হবে।
"http://copy.com/TOQYaOLGfQqY/Alienware%20Eclipse%20Icons.zip"

ড্রপবক্সে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী

ব্যক্তিগতভাবে ফাইল শেয়ারিং এর জন্য ড্রপবক্স খুব জনপ্রিয় একটি ফাইল শেয়ারিং সাইট। এখানে বিনামূল্যে ২জিবি ডাটা দেওয়া হয়। তবে কাউকে রেফার করলে তার জন্য দুজন ব্যক্তিই অতিরিক্ত ৫০০ মেগাবাইট করে ডাটা বোনাস হিসাবে পায়। অধিক পরিমাণ ডাটা শেয়ারের ক্ষেত্রে ব্যান্ডউইথ লিমিট থাকলেও সাধারন মানুষের কাছে ড্রপবক্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজেও ড্রপবক্স দিয়ে প্রথম ফাইল শেয়ারিং শুরু করি। যাহোক, এবার আসল কথায় আসি। আমরা এখন দেখবো কীভাবে ড্রপবক্সে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী করা যায়।
  • যেকোন একটা ফাইল আপলোড করুন এবং আপলোড কমপ্লিট হলে নিচের চিত্রের মতো সেটার উপর রাইট ক্লিক করে শেয়ার লিংক নির্বাচন করুন। তাহলে আপনার কম্পিউটারের ক্লিপবোর্ডে লিংকটি কপি হয়ে যাবে। মনে করি আমাদের লিংকটি নিচের মতো।
"www.dropbox.com/s/qmocfrco2t0d28o/Fluffbeast.docx"

  • ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী করার জন্য শুধুমাত্র লাল চিহিৃত অংশ অর্থাৎ "www.dropbox.com" লেখাটিকে "dl.dropboxusercontent.com" দিয়ে রিপ্লেস করে দিন। ব্যাস, আপনার ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী। যেটা দেখতে নিচের মতো হবে।
"https:// dl.dropboxusercontent.com/s/qmocfrco2t0d28o/Fluffbeast.docx"

অন্যন্য যেকোন ফাইলের ডাইরেক্ট লিংক শেয়ার

অন্যন্য কিছু জিনিস ডাউনলোডের জন্য যখন আপনি ডাইরেক্ট লিংক শেয়ার করতে চাইবেন তখন ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার ব্যবহার করতে পারেন। অধিকাংশ ফাইল ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার লিংক থেকে ডাইরেক্ট ডাউনলোড করা যাবে। সুতরাং ডাইরেক্ট লিংকের জন্য নিচের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
  • প্রথমে কোন কিছু ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার দিয়ে ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড শুরু হওয়ার পরে ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজারের মেইন উইন্ডো হতে উক্ত ফাইলের লিংকের উপর ডাবল ক্লিক করুন।

  • এবার দেখবেন নিচের চিত্রে চিহিৃত জায়গায় উক্ত ফাইলের ডাইরেক্ট লিংক দেখা যাচ্ছে।

আশা করছি আপনারা সফলভাবে কাজটি করতে পেরেছেন। তবে আইডিএম লিংক প্রায় সবার জন্য উপযোগী। তবে দুই একটা ব্যতিক্রম আছে। যাহোক, বেশি বেশি ফাইল শেয়ার করে টেকটিউনস কমিউনিটিকে আরও সমৃদ্ধ করুন। এবং টিউনে কোন কিছু একবারে না বুঝলে বারবার পড়ুন।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

এখন থেকে ব্রাউজার এবং ডাউনলোড ম্যানেজার ছাড়া জাদুকরী উপায়ে প্রয়োজনীয় সব সফটওয়্যার ডাউনলোড করে অটোমেটিক ইনস্টল করুন! এবার সবাইকে চমকে দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করুন সত্যিকারের এক্সপার্ট!!

সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আমার শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি ব্রাউজার এবং ডাউনলোড ম্যানেজার ছাড়া জাদুকরী উপায়ে কম্পিউটারে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং অটোমেটিক ইনস্টলেশন সম্পর্কিত আমার আজকের টিউন।

আমরা যখন কম্পিউটারে কোন প্রোগ্রাম ইনস্টল করি তখন কেউ কখনো খেয়াল করিনা যে সেটা কীভাবে ইনস্টল হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে আমরা প্রোগ্রাম ইনস্টলেশনের জন্য চিরাচরিত প্রথা মেনে আসছি। যখন কোন প্রোগ্রামের প্রয়োজন হয় তখন সেটাকে ওয়েব সাইটে সার্চ করি। তারপর তার EXE (Executable File) ফাইল কিংবা MSI (MicroSoft Installer) ফাইল ডাউনলোড করে সেটাকে ইনস্টল করার চেষ্টা করি। ইনস্টলেশনের ধাপগুলো এতোটাই দীর্ঘ যে ক্লিক ক্লিক ক্লিক ক্লিক দিতে দিতে বিরক্তির সীমা থাকেনা! যদিও এই পদ্ধতির কোন বিকল্প আমরা জানিনা বলেই কখনো এটাকে বিরক্তিকর বলে মনে হয়নি। আপনারা যারা লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন তারা সাধারনত কমান্ড (টার্মিনাল) ব্যবহার করে কোন প্রোগ্রাম কম্পিউটারে ইনস্টল করেন। এর জন্য অতিরিক্ত কোন ঝামেলা করতে হয়না। শুধু কমান্ড লিখলেই ব্যবহারকারীর অজান্তে কাঙ্খিত ফাইল ডাউনলোড হয়ে যায়। আমরা আজ দেখবো কীভাবে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে সব চেয়ে সহজ পদ্ধতিতে (দুইটা কমান্ডের সাহায্যে) কোন প্রকার ব্রাউজার এবং ডাউনলোড ম্যানেজার ছাড়া প্রোগ্রাম ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে পারি। আমাদের জন্য এই কাজটি করে দিবে Chocolatey নামের একটি কমান্ড লাইন অ্যাপ্লিকেশন। পানির মতো সহজ এই টিউনের পরবর্তি অংশে আপনারা এই Chocolatey ব্যবহারের সব পদ্ধতি জানতে পারবেন।

Chocolatey – কী কেন কীভাবে?

Chocolatey হলো একটি উইন্ডোজ ভিত্তিক এবং ডেভেলপার কেন্দ্রিক প্যাকেজ ম্যানেজার অ্যাপ্লিকেশন (কমান্ড লাইন) যাকে NuGet বলা হয়। সাধারনত অন্যন্য ম্যানুয়েল প্রোগ্রাম ইনস্টলেশনের চেয়ে ভিন্ন প্রক্রিয়ায় এবং ব্যবহারকারীদের কোন প্রকার ঝামেলায় না ফেলে Chocolatey নিভৃতে প্রোগ্রাম ইনস্টল করে থাকে। আপনি Chocolatey ব্যবহার করলে যেসব সুযোগ সুবিধা পাবেন সেগুলো সম্পর্কে আগে একটু আলোকপাত করে নিই।
  • Chocolatey এর রয়েছে নিজস্ব প্রজেক্ট কমিউনিটির দ্বারা তৈরী প্যাকেজ ফিড যা দৃষ্টির অন্তরালে আপনার কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় এবং আপনার চাহিদা ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড এবং ইনস্টলে সাহায্য করবে।
  • অন্যন্য কামান্ডের মতো কোন কঠিন কমান্ড নেই। শুধুমাত্র ২টা কমান্ড ব্যবহার করে আপনি নিমিষেই Chocolatey সার্ভার থেকে প্রয়োজনীয় সহস্রাধিক অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে পারবেন।
  • শুধুমাত্র কমান্ড প্রম্পট ব্যবহার করে Chocolatey ব্যবহার করতে হবে। তাই অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড কিংবা ইনস্টলেশনের জন্য কোন প্রকার ব্রাউজার বা ডাউনলোড ম্যানেজারের প্রয়োজন নেই।
  • Chocolatey ইন্টারনেট থেকে সরাসরি কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়ায় প্রোগ্রাম ডাউনলোড করে। এবং উক্ত প্রোগ্রাম চালানোর জন্য যা কিছু প্রয়োজন সব এক সাথে ডাউনলোড এবং ইনস্টল হয়। (যেমন অনেক ক্ষেত্রে ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক রিকোয়ারমেন্ট থাকে)
  • Chocolatey এর সাহায্যে এক সাথে একাধিক প্রোগ্রাম ডাউনলোড এবং ইনস্টল করা যায়।
এবার মনে করুন আপনি একটা নতুন পিসি কিনলেন এবং এতে শুধুমাত্র Chocolatey ইনস্টল করলেন। আপনার সামনে এখান রয়েছে বিশাল এক সফটওয়্যার সমুদ্র। শুধু প্রোগ্রামগুলোর নাম লিখবেন এবং Chocolatey আপনাকে সাথে সাথে সেগুলো ডাউনলোড করে ইনস্টল করে দিবে। Chocolatey এর ব্যবহার এতোটাই সহজ যে আপনি নিজেই চমকে যাবেন যে, এতো এডভান্স লেভেলের কাজ এতো সহজে কীভাবে করা সম্ভব!

Chocolatey – ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া

Chocolatey ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া খুবই সাধারন। আপনি যদি কপি পেস্ট করতে জানেন তাহলেই Chocolatey ইনস্টল এবং ব্যবহার করতে পারবেন। Chocolatey ইনস্টলেশন প্রক্রিয়ার জন্য একটাই ধাপ। শুধুমাত্র কম্পিউটারের কমান্ড প্রম্পট (cmd) এডমিন হিসাবে চালু করুন এবং নিচের কোডগুলো কপি করে পেস্ট করুন। এবার এন্টার চেপে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আশা করছি এতোটুকুতেই আপনার কাজ হয়ে যাবে।
@powershell -NoProfile -ExecutionPolicy unrestricted -Command "iex ((new-object net.webclient).DownloadString('https://chocolatey.org/install.ps1'))" && SET PATH=%PATH%;%ALLUSERSPROFILE%\chocolatey\bin
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে নতুন ব্যবহারকারীদের কাছে এখনো বিষয়টা কঠিন লাগছে! তো তাদের জন্য নিচের ধাপগুলো দ্রষ্টব্য-
  • প্রথমে কম্পিউটারের স্টার্টমেনু থেকে All Programs > Accessories > Command Prompt এ মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে নিচের চিত্রের মতো Run As Admin অপশনে ক্লিক করুন।

  • এবার নিচের চিত্রের মতো কমান্ড প্রম্পট ওপেন হলে উপরে বর্ণিত কোডগুলো মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে পেস্ট করে দিন। পেস্ট হয়ে গেলে এন্টার চাপুন।

  • কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর নিচের চিত্রের মতো Chocolatey কপি এবং ইনস্টল হওয়ার চিত্র দেখতে পাবেন। আপনাকে অবশ্য এখানে কিছুই করতে হবেনা।

আশা করছি আপনারা সবাই সফলভাবে Chocolatey ইনস্টল করতে পেরেছেন। তাছাড়া এটা আহামরি কঠিন কোন বিষয়টা না যে আপনারা পারবেন না। তবে অনুরোধ একটাই, কেউ অকারন ভয় পাবেন না।

Chocolatey এর সাহায্যে যেভাবে প্রোগ্রাম ডাউনলোড এবং ইনস্টল করবেন

আপনি যে Chocolatey ইনস্টল হতে দেখেছেন এতোটুকুই মনে রাখার বিষয়। নাহলে Chocolatey প্রোগ্রামটি কে আপনি কোনদিন চোখেও দেখবেন না। এটা মুলত একটা ফ্রেমওয়ার্কের মতো কাজ করে। আপনি যখনই কোন শর্ট কমান্ড লিখবেন Chocolatey সেটাকে কাজে রূপান্তরিত করে দিবে। এর সাহায্যে কোন প্রোগ্রাম ডাউনলোড এবং ইনস্টল করা এতোটাই সহজ যে এর তুলনায় কম্পিউটারে Chocolatey ইনস্টল করাটাই তুলনামূলকভাবে কঠিন। যাহোক, আপনারা যেহেতু কঠিন কাজটি করেছেন সুতরাং সহজ বিষয়টা নিয়ে এতো মাথা ঘামাতে হবে না। এর সাহায্যে প্রোগ্রাম ডাউনলোড এবং ইনস্টল প্রক্রিয়া নিম্নরূপ-
  • Chocolatey এর সাহায্যে কোন প্রোগ্রাম ডাউনলোড এবং ইনস্টলের জন্য (cinst অথবা choco install) দুটোর যেকোন একটি কমান্ড আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
  • এর মানে হলো ধরুন আপনি কম্পিউটারে skype ইনস্টল করতে চাচ্ছেন তাহলে এডমিন হিসাবে রান করা কমান্ড প্রম্পটে cinst skype অথবা choco install skype লিখে এন্টার চাপলেই স্কাইপ ডাউনলোড এবং ইনস্টল হওয়া শুরু করবে। এই কমান্ডটি বুঝার জন্য নিচের চিত্র দেখুন।

  • স্কাইপ ডাউনলোডের প্রক্রিয়া শুরু হলেই নিচের মতো চিত্র দেখতে পারবেন। ডাউনলোড শেষে ফাইলটি নিজে থেকেই ব্যাকগ্রাউন্ডে ইনস্টল হয়ে যাবে। তবে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত কমান্ড প্রম্পটি বন্ধ করা যাবে না।

  • তবে মাঝপথে নিচের মতো করে কনফার্মেশন চাইলে ১ চেপে এন্টার দিন। এর ফলে Chocolatey এর স্ক্রিপ্ট রান করার অনুমতির দেওয়া হবে।

  • মনে করি, আপনি vlc, ccleander কিংবা 7zip সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করতে চান তাহলে তাদের জন্য কমান্ডগুলো হবে যথাক্রমে cinst vlc অথবা choco install vlc, cinst ccleaner অথবা choco install ccleaner এবং cinst 7zip অথবা choco install 7zip ইত্যাদি। এরকম প্রয়োজনীয় সব প্রোগ্রামকে তাদের নাম লিখে ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে পারবেন।
  • কোন একটা প্রোগ্রাম Chocolatey এর সার্ভারে আছে কিনা জানার জন্য কমান্ড প্রম্পটে choco search [keyword] টাইপ করুন অর্থাৎ যদি ccleaner খুঁজতে চান তাহলে শুধুমাত্র choco search [ccleaner] লিখে এন্টার দিলেই জানতে পারবেন সার্ভারে ccleaner আছে কিনা।
  • Chocolatey এর সার্ভারে কোন কোন প্রোগ্রাম আছে এবং যেগুলো কতোবার ডাউনলোড করা হয়েছে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন। আপনি আশ্চর্য হয়ে যাবেন এটা দেখে যে, কতো লোক Chocolatey ব্যবহার করে!!!
  • একাধিক সফটওয়্যার ইনস্টলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কমান্ডের পর সেগুলোর নাম পরপর লিখুন। যেমন আমি চাচ্ছি একই সাথে vlc, gimp এবং Firefox ডাউনলোড করবো। তাহলে কমান্ড হবে এরকম- cinst vlc gimp Firefox অথবা install choco vlc gimp Firefox।
  • কোন প্যাকেজ আনইনস্টল করে দিতে চাইলে choco uninstall লিখে তারপর প্যাকেজের নাম লিখুন। যেমন Firefox এর জন্য লিখতে হবে choco uninstall Firefox। আশা করি এবার পুরোপুরি বুঝতে পেরেছেন।
আজকের টিউনের বিষয়বস্তু টেকটিউনস পরিবারের কাছে সম্পূর্ণ নতুন। আর আমাদের এই কমিউনিটিতে নতুনকে ভয় পায় এরকম লোকের যেমন অভাব নেই তেমনি নতুনকে পুঁজি করে আরও নতুনকে জানার জন্য আগ্রহী লোকেরও কোন অভাব নেই। আপনারা কে কোন দলে আছেন সেটা আজ আপনাদের টিউমেন্ট দেখেই বুঝা যাবে। আশা করছি টিউন শেষে আপনাদের নতুনের প্রতি আগ্রহ ভিন্ন অনাগ্রহ যেন না দেখতে হয়।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

ইন্টারনেট ব্রাউজ করার ৯টি এক্সক্লুভিস টিপস! পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করে হয়ে যান ওয়েব সার্ফিং হ্যাকার!!

সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আমার আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর কিছু এক্সক্লুসিভ টিপস সম্বলিত আমার আজকের টিউন।
আপনি কি কখনো আপনার দাদা দাদীকে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে দেখেছেন। যদি দেখে থাকেন তাহলে দেখবেন যে তারা কতোটা স্লো ইন্টারনেট ব্রাউজ করে। তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যে এরকম স্লো ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নেই একথা বলবো না। প্রত্যেকটা দিন ফেসবুকে অনেকেই খুব সাধারন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করে যেগুলোর উত্তর গুগলে খুব সহজেই পাওয়া যায়। আমাদের এই টেকটিউনসের প্রায় ৩ কোটি প্রযুক্তিপ্রেমিরা দিনের অধিকাংশ সময় যে ইন্টারনেট নিয়ে কাটায় তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এখানে অ্যামেচার থেকে শুরু করে  প্রফেশনাল লেভেলের লোকও রয়েছে। আজকের টিউনটি এরকম সবার জন্যই। আজকের টিউনে আমি দেখাতে চেষ্টা করবো কীভাবে ওয়েব ব্রাউজ করলে আপনি খুব সহজেই এক্সপার্টদের মতো কাজ করতে পারবেন। কোন সহজ কাজের জন্য একাধিক রাস্তা নয় বরং একটা রাস্তায় থাকে। তবে যারা স্টিভ জবস এর থিংক ডিফারেন্ট তত্ত্বের সাথে একমত তারা কেবল একই পথে ভিন্ন ভাবে চলার চেষ্টা করে। যাহোক, আমি আশা করছি আজকের টিউন শেষে আপনারা ইন্টারনেট ব্যবহারে একজন এক্সপার্ট হয়ে বের হবেন।

ভুলবশত ক্লোজ হয়ে যাওয়া ট্যাবকে সহজেই reOpen করুন

মাঝে মাঝেই এরকম হয় যে একটি ট্যাবকে ক্লোজ করতে গিয়ে আমরা অন্য ট্যাবকে ক্লোজ করে ফেলি। ফলে আমাদের যেকোন কাজে মারাত্বক বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে যেকোন ট্যাব ক্লোজ হয়ে যাওয়া মাত্র কিবোর্ড থেকে Control+Shift+T (উইন্ডোজ) অথবা Command+Shift+T (ম্যাক) চাপলেই ক্লোজ হয়ে যাওয়া ট্যাবটি আবার ফিরে আসবে।

একাধিক একাউন্টে একই সাথে অ্যাক্সেস করার জন্য প্রাইভেট উইন্ডো ব্যবহার করুন

আজকাল আমাদের প্রায় সবারই একের অধিক ইমেইল কিংবা ফেসবুক একাউন্ট রয়েছে। কিন্তু একই ব্রাউজার দিয়ে একই সাথে একাধিক একাউন্টে অ্যাক্সেস করা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রে আপনাদের প্রাইভেট উইন্ডো ব্যবহার করতে হবে। মজিলা ফায়ারফক্সে প্রাইভেট উইন্ডো কিবোর্ড থেকে Control+Shift+P চাপলেই একটিভেট হয়ে যাবে। আপনি যতো খুশি প্রাইভেট উইন্ডো তৈরী করে একাধিক একাউন্ট অ্যাক্সেস করতে পারবেন। আপনি যদি গুগল ক্রোম ব্যবহার করেন তাহলে গুগল ক্রমে এই ফিচারটাকে বলে Incognito মোড। কিবোর্ড থেকে Control+Shift+N চাপলেই Incognito উইন্ডো একটিভ হবে।

পাসওয়ার্ড মনে রাখতে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন

একাধিক একাউন্টের জন্য পাসওয়ার্ড মনে রাখার জন্য অধিকাংশ মানুষ যা করে তা হলো, একই পাসওয়ার্ড সব জায়গায় ব্যবহার করে। এটা মারাত্বক একটি সিকিউরিটি ঝুকির কারন হতে পারে। কখনো একই পাসওয়ার্ড একাধিক একাউন্টে ব্যবহার করবেন না। এ কারনে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে আমি আপনাকে রিকমেন্ড করবো Lastpass ব্যবহার করার জন্য। গুগল ক্রোম এর জন্য Lastpass ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন এবং মজিলা ফায়ারফক্স এর জন্য Lastpass ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

Lastpass মূলত এক্সটেনশন হিসাবে ডাউনলোড হবে। ডাউনলোড শেষ হলে আপনি ওদের ওয়েব সাইটে গিয়ে নিজের ইমেইল দিয়ে একটি একাউন্ট তৈরী করে Lastpass এ লগইন করুন। এখন আপনি যেকোন ওয়েব সাইটে ঢুকলে Lastpass সেই সাইটগুলোর জন্য ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ড সেইভ করে রাখবে। পরবর্তিতে ঐ সাইটগুলোতে ঢুকার সময় আপনাকে আর পাসওয়ার্ড দিতে হবেনা। সুতরাং মাস্টার পাসওয়ার্ড ছাড়া আর সবকিছু ভুলে যান।

দ্রুত সার্চ করার জন্য সার্চ ফাংশন ব্যবহার করুন

গুগল হলো বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত সার্চ ইঞ্জিন। গুগলে পাওয়া যায় না এমন কিছু নেই। কিন্তু গুগলের এই বিশাল ভান্ডার হতে সার্চ করার জন্য আপনাকে কিছু কিওয়ার্ড মনে রাখতে হবে। তাহলেই খুব কম সময়ে আপনার কাঙ্খিত তথ্য খুঁজে পাবেন। গুগল সার্চ টেকনিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

টাইটেল ব্যবহার না করে বুকমার্ক করুন

আমরা যখন কোন ওয়েব সাইটকে বুকমার্ক করে রাখি তখন তার টাইটেল সহ বুকমার্ক করে রাখি। এক্ষেত্রে খুব অল্প সংখ্যক বুকমার্ক ব্রাউজারের বুকমার্ক টুলবারে জায়গা পায়। অধিক বুকমার্ক সংরক্ষণের জন্য টাইটেল ছাড়া বুকমার্ক সংরক্ষণ করুন। শুধুমাত্র বুকমার্কগুলোর উপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে এডিট বাটন চেপে টাইটেল মুছে দিলেই কাজ হয়ে যাবে।

নির্ঝঞ্ঝাট ওয়েব ব্রাউজিং এর জন্য এডব্লক ব্যবহার করুন

এমন অনেক ওয়েব সাইট আছে যেগুলো এড দিয়ে ভর্তি। অনেক ওয়েব সাইট হতে এডওয়্যার ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এডমুক্ত ওয়েব ব্রাউজিং এর জন্য এডব্লক প্লাস ব্যবহার করুন। আপনার যেকোন ব্রাউজারের জন্য এডব্লক প্লাস ডাউনলোড করতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন

অনাকাঙ্খিত ওয়েব লিংক থেকে বাঁচতে চাইলে আগে লিংক হোভার করুন

অনেক সময় দেখা যায় আপনি কোন লিংকে ক্লিক করলে আপনার কাঙ্খিত সাইটের পরিবর্তে অন্য সাইটে রিডাইরেক্ট হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকটা লিংকের উপর মাউস হোভার (পয়েন্টার উপরে রাখা) করুন। তাহলে ব্রাউজারের বামপাশে কর্ণারে ঐ লিংকটি আপনাকে কোথায় নিয়ে যাবে সেটা দেখাবে।

নতুন ট্যাব এর জন্য কন্ট্রোল বাটন চেপে মাউস ক্লিক করুন

আপনি যদি কোন লিংক কে নতুন একটি ট্যাবে ওপেন করতে চান তাহলে শুধুমাত্র কন্ট্রোল বাটন চেপে মাউসের বাম পাশের বাটনটি প্রেস করুন। তাহলেই উক্ত লিংক একটি নতুন ট্যাবে ওপেন হবে। তবে লিংকের উপর মাউসের মিডল বাটন প্রেস করলেও সেটা নতুন ট্যাবে ওপেন হবে। তাছাড়া কোন ট্যাবের উপর মাউসের মিডল বাটন প্রেস করলে উক্ত ট্যাবটি বন্ধ হয়ে যাবে।

কোন শব্দকে গুগলে সার্চ করতে সেটাকে হাইলাইট করুন

ওয়েব সাইটের কোন টার্ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে উক্ত শব্দকে প্রথমে হাইলাইট করুন। তারপর মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করলেই গুগলে সার্চ করার অপশন খুঁজে পাবেন। কোন শব্দকে এখন আর সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করতে হবে না।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

উইন্ডোজের সচরাচর সব সমস্যা এবার সমাধান করুন নিজে নিজেই! উইন্ডোজ এক্সপার্ট হওয়ার মিশনে স্বাগতম!!

সবাইকে আমার  শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আপনাদেরকে উইন্ডোজ এক্সপার্ট বানানোর নিমিত্তে সচরাচর সমস্যাগুলো তুড়িতে সমাধান শীর্ষক আমার আজকের টিউন।
সৃষ্টির শুরু থেকে প্রত্যেকটা বিষয়ের সাথে ওতপ্রোতভাবে যে নামটি জড়িয়ে আছে সেটা হলো সমস্যা। সমস্যা ছাড়া যেমন কোন মানুষ নেই তেমনি পৃথিবীর এমন কোন বস্তু বস্তু কণা নেই যার কোন সমস্যা হয় না। হাসি খুশি যে মানুষটি সকালে আপনার সাথে হাটতে বের হয় তাকেও জিজ্ঞাসা করলে বলবে- আর ভাই বইলেন না, ডায়াবেটিস এর সমস্যায় জীবনটা জর্জরিত হয়ে গেলো! যাহোক, আমি ডায়াবেটিসের সমস্যা নয় বরং কম্পিউটারের সমস্যা নিয়ে আজ কথা বলবো। কারন মানুষের সমস্যা হরেক রকম হলেও কম্পিউটারের সমস্যা মূলত দুটো দিক থেকে হয়। প্রথমটা হলো সফটওয়্যার অথবা অপারেটিং সিস্টেম কেন্দ্রিক সমস্যা এবং অপরটা হলো হার্ডওয়্যার কেন্দ্রিক সমস্যা। হার্ডওয়্যার কেন্দ্রিক সমস্যা যেহেতু সফটওয়্যার দিয়ে সমাধান করা যায় না তাই সফটওয়্যার দিয়েই সফটওয়্যার কেন্দ্রিক সমস্যাগুলো সমাধান বিষয়ে আজকে আলোচনা করবো; বিষে বিষ ক্ষয় যাকে বলে আর কি! উইন্ডোজ পিসিতে সাধারনত খুব জটিল কোন সমস্যা হয় না। সাধারন সমস্যাগুলোই না জানার কারনে আমাদের কাছে অনেক জটিল বলে মনে হয়। আজ আমি মূলত একটি সফটওয়্যারের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিবো যেদি দিয়ে উইন্ডোজ পিসির সচরাচর প্রায় ৫০ টিরও অধিক সমস্যা আপনারা শুধুমাত্র ক্লিক করে সমাধান করতে পারবেন। তাহলে আর দেরি কেন?

Fix Win | ফ্রিওয়্যার | ডাউনলোড

শিরোনাম দেখেই হয়তো বুঝতে পারছেন আজ যে সফটওয়্যারটি নিয়ে আমরা আলোচনা করতে যাচ্ছি তার নাম Fix Win। সফটওয়্যারটির নামের মাঝেই তার কাজের মাহাত্ম লুকিয়ে আছে। কারন উইন্ডোজের যাবতীয় সমস্যাগুলোকে তুড়ি মেরে সমাধান করতে এর জুড়ি নেই। একবার ব্যবহার করলেই বুঝতে পারবেন যে, এর দ্বারা কী হয় সেটা জানার চাইতে কী হয় না সেটা জানাটাই কতো জরুরী।

সাধারনত আমার টিউনগুলোতে সফটওয়্যার সম্পর্কে রিভিউ দিতে গেলে আমি ডাউনলোড লিংক একেবারে শেষে দেই। কারন ফিচার ভালো লাগলেই কেবল ডাউনলোডের প্রসঙ্গ আসে। কিন্তু আজ আমি ডাউনলোড লিংক সবার আগে দিলাম এ কারনেই যে, সফটওয়্যারটি আপনার জন্য ডাউনলোড করা ফরজ এবং ডাউনলোড শেষে ওপেন করলেই সব ফিচার আপনি দেখতে পারবেন। যাহোক, কথা না বাড়িয়ে উইন্ডোজের আলাদা দুটি ভার্সনের জন্য নিচের ডাউনলোড লিংক থেকে মাত্র কয়েক কিলোবাইটের এই পোর্টেবল সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।

Fix Win | উইন্ডোজ ৭

টিউনে সংযুক্ত স্ক্রিনশটগুলোই সফটওয়্যারটির কাজ বুঝার জন্য যথেষ্ট। আপনি সমস্যার ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্রথমে সমস্যাগুলো সনাক্ত করুন। তারপর ডানপাশের Fix বাটনটিতে চাপ দিলেই আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। এরপর শুধুমাত্র কম্পিউটার রিস্টার্ট দিলেই পিসি একেবারে রোগমুক্ত। তো নিচের স্ক্রিনশটগুলোতে চোখ বুলিয়ে নিন যে, এর দ্বারা কী কী সমস্যা সমাধান করা যাবে।





Fix Win | উইন্ডোজ ৮ | উইন্ডোজ ৮.১

উইন্ডোজ ৮ অপারেটিং সিস্টেম যেহেতু উইন্ডোজ সেভেনের চেয়ে আলাদা। তাই সমস্যাগুলোও যে আলাদা হবে এটাই স্বাভাবিক। যেকোন সমস্যার জন্য আপনি যদি ডানপাশের প্রশ্নবোধক চিহেৃ ক্লিক করেন তাহলে সেই সমস্যা বিষয়ে সংক্ষিপ্ত তথ্য পাবেন। আর যদি Fix বাটনটি চাপেন তাহলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। প্রত্যেকটা কাজ শেষে কম্পিউটার রিস্টার্ট দেওয়া বাধ্যতা মূলক। তো নিচের স্ক্রিনশটগুলোতে চোখ বুলিয়ে নিন যে, এর দ্বারা কী কী সমস্যা সমাধান করা যাবে।







টিউনটি স্ক্রিনশট নির্ভর করলাম এ কারনে যে এটা নিয়ে অতিরিক্ত কথা বলার কোন প্রয়োজন নেই। কারন ছবি দেখলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। তারপরেও কোন অংশের বর্ণনা প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবেন। আমি টিউন আপডেট করে দিবো।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য বিশ্ব সেরা সফটওয়্যার। এবার কোন প্রকার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই হয়ে যান SEO এক্সপার্ট। অকালপক্কদের জন্যও বিশেষ উপযোগী। [আপনি না বললেও মেগাটিউন]

সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় বিষয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের বিশ্বসেরা এবং সর্বাধিক কার্যকর সফটওয়্যার নিয়ে আমার আজকের টিউন।
বর্তমান সময়ে মুক্ত কাজের ক্ষেত্রের ক্রমবর্ধমান বিকাশের কারনে মানুষের মাঝে সহজকাজগুলো করে কিছুটা উপার্জনক্ষম হওয়ার একটা মানুষিকতা ব্যাপকভাবে কাজ করছে। যে কাজ যতো সহজ তারপ্রতি মানুষের আকর্ষন ততো বেশি। ওয়েব সাইট কেন্দ্রিক কাজগুলোর মধ্যে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) বর্তমান সময়ে এরকম একটি জনপ্রিয় বিষয়। যদিও বিষয়টা এতোটা সহজ নয় কিন্তু ওয়েব রিলেটেড অন্যন্য বিষয়গুলোর চাইতে এটাতে মানুষের আকর্ষণ যেন একটু বেশিই। মানুষের সার্বজনিন এই আকর্ষনের বিষয়টি আমার মনযোগ আকর্ষণ করতে তাই বেশি একটা বিলম্ব করেনি। টেকটিউনস পরিবারকে সব সময় সেরা কিছু দেওয়ার প্রত্যয় এক্ষেত্রেও আমাকে উৎসাহিত করেছে। তাই আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি এমন একটি সফটওয়্যার যার সাহায্যে আপনি ভাত মাছ খাওয়ার মতো সহজ উপায়ে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করতে পারবেন। সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ভাষ্য মতে কোন বার বছরের বালকের জন্যও সফটওয়্যারটি একেবারে সহজবোধ্য মনে হবে। এবং একেবারে নির্ভেজাল ভাবে সব বয়সের এবং সব দক্ষতার মানুষের জন্য সফটওয়্যারটি শতভাগ দক্ষতা প্রদর্শন করবে। যাহোক, টিউনের শুরুতে যারা টিউনের টপিক্সের সাথে পরিচিত না তাদের জন্য একটু পরিচিতির ব্যবস্থা করা যাক।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) কী, কেন দরকার?

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization) হলো এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে যে কেউ সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টে নিচের সাইটকে প্রথম দিকের অবস্থানে এনে সেই ওয়েব সাইটকে বিনামূল্যে সকলের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। একটি তথ্যবহুল এবং মার্জিত আঙ্গিকে তৈরী করা কোন ওয়েব সাইটে অসংখ্য ভিজিটর বাড়াতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের প্রধান উদ্দেশ্যগুলো নিম্নরূপঃ

  • একটি সাইটকে সকলের কাছে সহজে পৌছে দেওয়া।
  • ওয়েব সাইটের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করা।
  • সাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধি করা।
  • বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ইনকামের প্লাটফর্ম তৈরী করা।
  • এছাড়াও তথ্য বিনিময় ও প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার শক্ত ভিত হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
বর্তমান বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য বিশেষ কোন কাজ সম্পন্ন করে সকলের কাছে পৌছে দিতে পারলেই কেবল কাজে সফলতা আসে। প্রতিযোগিতার এই যুগে কারো আপনার সাইটকে মনে রাখার মত সময় হয়তো নেই৷ তাই মানুষের প্রয়োজন মাফিক তথ্য অতি দ্রত পেতে সার্চ ইঞ্জিনের প্রয়োজন অনস্বীকার্য। এ কারনে আপনার পণ্যের প্রসার, বিজ্ঞাপন কিংবা মানুষের কাছে আপনার বার্তা পৌছে দেওয়ার সবচেয়ে উত্তম মাধ্যম হলো সার্চ ইঞ্জিনে যেন আপনার পন্য প্রথমে চলে আসে। আর এটা করার যে প্রকৃয়া সেটাই হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

SEO PowerSuite | Price $699

আজকের টিউনের মূল উদ্দেশ্য সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কী সেই বিষয়ে কথা বলা না। বরং কীভাবে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিতে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করা যায় সেই বিষয়ে কথা বলা। তবে যদি কেউ টিউনের এই অংশ থেকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বিষয়ে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে টিউনটিকে প্রিয়তে রেখে আপাততো এ ব্যাপারে পূর্ণ জ্ঞান নিয়ে নিন। টিউনের শিরোনাম দেখেই হয়তো বুঝে গেছেন সফটওয়্যার নাম কি এবং এটা কতোটা মূল্যবান। এবার চলুন জেনে আসি সফটওয়্যারটিতে এমন কী আছে যার জন্য এই বিষয়ে আজ এতো আয়োজন।
  • সবচেয়ে বড় কথা হলো সফটওয়্যারটি একটি একক অ্যাপ্লিকেশন হিসাবে পেলেও এটাতে রয়েছে চারটি ভিন্ন ভিন্ন সফটওয়্যারের ইনটিগ্রেশন।

  • আপনার ওয়েব সাইটের র‌্যাংক মনিটরিং এর জন্য এখন আর ঘন্টার পর ঘন্টা ব্যায় করে সাইট পজিশন এর দিকে নজর রাখতে হবে না। এই কাজটি খুব সুচতুর ভাবে SEO PowerSuite সফটওয়্যারটিই করে দিবে।

  • এতে রয়েছে সর্বাধিক ব্যাকলিংক ইনডেক্স, নিউ লিংক বিল্ডিংয়ের সুযোগ এবং লিংক এনালাইসিসের জন্য সব কিছু। এর মানে যা কিছু প্রয়োজন সব এখানেই পাবেন।

  • সফটওয়্যারটির সাথে সংযুক্ত ১৯টি কিওয়ার্ড সাজেশন টুলসের মাধ্যমে আপনি শক্তিশালী কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন। সাইটকে উপযুক্ত করতে আর কি লাগবে?

  • কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন, ব্রকেন লিংক এরর, এইচটিএমএল এরর, ডুপ্লিকেট পেইজ ইস্যুগুলোকে খুব সহজভাবে হ্যান্ডল করতে পারবেন।

  • ব্যাকলিংক, র‌্যাংক এবং কন্টেন্ট কম্পিটিশনগুলো খুব সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করতে পারবেন।

  • এবং পিডিএফ কিংবা এইচটিএমএল এ আপনার সাইটের সাপ্তাহিক রিপোর্ট এবং প্রফেশনাল মানের হুয়াইট লেভেল ব্যাকলিংক রিপোর্ট পাবেন।

  • এছাড়াও গুগল এনালাইটিক্স, সামাজিক মিডিয়া, সহজ ডাটা এক্সপোর্ট এবং টাস্ক শিডিওলিং সুবিধা তো থাকবেই।

ডাউনলোড এবং একটিভেশন পদ্ধতি

সফটওয়্যারটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে উইন্ডোজ, লিনাক্স, কিংবা ম্যাক এর জন্য ফ্রি ভার্সনটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন। অফিশিয়াল সাইট হতে আপনি সফটওয়্যারটি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তবে আমার আজকের আয়োজন হলো সফটওয়্যারটির এন্টারপ্রাইজ এডিশন নিয়ে যেটার বর্তমান বাজার মুল্য প্রায় ৫৪,০০০ টাকা। সুতরাং মেডিসিন ফাইল সহ ৭৭ মেগাবাইটে সফটওয়্যারটির এন্টারপ্রাইজ এডিশন ডাউনলোড করতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

আপনি যদি সফলভাবে জিপ ফাইলটি ডাউনলোড করে থাকেন তাহলে সেটাকে আনজিপ করলে সেটাপ এবং মেডিসিন নামের দুটি ফোল্ডার পাবেন। সেখান থেকে প্রথমে সেটাপ ফাইলটি আপনার পিসিতে স্বাভাবিক নিয়মে ইনস্টল করুন। এবার আপনার ডেস্কটপে সফটওয়্যারটির ৫টি আলাদা আলাদা প্যাকেজ পাবেন। এবার মেডিসিন ফাইলটিকে এডমিন হিসাবে রান করলে প্রত্যেকটি প্যাকেজের জন্য আলাদা আলাদা নেইম এবং রেজিস্ট্রেশন কী পেয়ে যাবেন। এবার তাহলে নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে থাকুন। সফটওয়্যারটি ভালো লাগলে তাদের এখান থেকে অর্ডার করতে পারেন। কারন নৈতিক দিক থেকে আমাদের পাইরেসি পরিহার করা উচিত।
জিপ ফাইলের ভেতরে থাকা মেডিসিন ফাইল যদি কাজ না করে তাহলে এখান থেকে মেডিসিন ফাইল ডাউনলোড করুন
মেডিসিন ফাইলটি রান হওয়ার জন্য ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ৪ রিকোয়ার করতেও পারে আবার নাও করতে পারে।

শেষ কথা

আমি SEO সম্পর্কে বেশি কিছু জানিনা, এ ব্যাপারে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। সব কিছু বিষয়ে কিছু জানতে হয় বলে কিছু জানি। কখনো এ সম্পর্কিত কোন কাজের অভিজ্ঞতা আমার নেই। সুতরাং টিউনে অনিচ্ছাকৃত ভুল থাকতেই পারে। যেহেতু আমি এই বিষয়ে বেশি কিছু জানিনা, তাই ভুলগুলো আমার দৃষ্টিগোচর হচ্ছেনা। টিউনে কোন অসংগতি থাকলে অনুগ্রহ করে আমাকে অবহিত করবেন। তাছাড়া টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

কিছু কথা
এই
সাইটে দেয়া সকল ইনকাম করার টিপস,প্রক্রিয়া/পদ্ধতি এখানে দেয়া ইনকাম করার সাইট সব বিশ্বস্ত এখানে কোন ভুয়া টিপস বা সাইট নিয়ে পোষ্ট করা হয় না ।। ইনকাম করার সকল পদ্ধতি এখানে শিখানো হবে এবং সেই পদ্ধতি গুলো ১০০% সত্যি যে সাইট গুলো সত্যি পেমেন্ট দেই শুধুমাত্র সেই সাইট গুলো থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন তা নিয়ে এখানে পোষ্ট করা হয়। তাই এখানকার সকল ইনকাম করার রাস্তা আপনি নির্দিধায় অনুসরন করতে পারেন

আর ছোট খাট হেল্প এর জন্য আমার দেয়া রিফারেল লিংক দিয়ে সকল ইনকাম করার সাইটে রেজিস্ট্রেশন করবেন

***নতুন নতুন ইনকাম করার ওয়ে শিখতে আমাদের সাথেই থাকুন

Popular Posts

Categories

Tips & Trick টিপস এন্ড ট্রিকস Blogspot Download ইন্টারনেট বাংলালিংক Make Money Online tips Blogger Computer Earn Without Investment Neobux TELECOMMUNICATION অনলাইন একের ভিতর সব ওয়েব ডিজাইন গুগল মেইল গ্রামীণফোন ডাউনলোড নেটওয়ার্ক বাংলালিংক সিম মোবাইল মোবাইলীয় Advance Computer Operating Affiliates Marketing Apps Audio Editor Awesome Cursors for Bloggers BD JOBS Computer Guru Copy Direct Link Data Recovery Software Design Earn Money Online Facebook File Management File arrangement Free Full Verified Paypal GP Internet Tips GP MB এর মেয়াদ বাড়ানো Gokano.com Gp eid Offer Gp flexi plane Headphone Internet Tips Internet Trick Jobs Keyboard Shortcut Link Generator MS word MS word Keyboard Shortcut Messager Mining site Mobile Net Speed Online Jobs PC Solve PDF Editor PDF Reader PDF Tools Paid Apps Payoneer Paypal SEO Sitemap Software Web Hacking Windows Windows Doctor Windows Problem Solve bangladeshi domain hosting cheap domain hosting daily income domain-hosting gp free 1gb 7 days gp free 1gb data gp free 1gb internet bonus gp free 1gb internet offer by referring friends gp free 250mb data gp offer grameenphone free 1GB internet new gp offer torrent to idm tutorial what will you do youtube tricks অটো রিফ্রেশ অফার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আমার টিউন্স ইউটিউব ইউটিউব ট্রিক ইলেকট্রনিক গেজেট ইলেক্ট্রনিক্স ওপেন সোর্স ওয়াইফাই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ওয়েব ব্রাউজার ওয়েব সাইট কম্পিউটার করবেন না কাজ ক্ষতিকর দিক গুরুত্বপূর্ণ জেনে রাখুন টরেন্ট (torrent) ফাইল ডাউনলোড করুন আইডিএম ব্যবহার করে টিউটোরিয়াল টিপস ডেস্কটপ টিপস তথ্য প্রযুক্তি দৈনিক আয় নতুন ও বন্ধ সিম নতুন পদ্বতি নাম ও লিঙ্ক নিরাপদ নেটওয়ার্কিং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পাসওয়ার্ড প্রযুক্তি প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট ফ্রি ফ্রি ইন্টারনেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য বুকমার্ক ব্যাকআপ ব্লগ সাইট মাউস নষ্ট হলে কি করবেন মাস্টারকার্ড রাউটার রেজিষ্ট্রেশন সংগ্রহ. বাংলাদেশী. ডোমেইন/হোস্টিং. প্রভাইডার. তালিকা .A টু Z সচেতন হোন সাবধান হোন সিম ক্লোনিং সেলফি স্টিক হার্ড ড্রাইভ হেডফোন হ্যাকিং ১GB ৫ টাকায়

Blog Archive

Contact Form

Name

Email *

Message *