আমরা আমাদের ল্যাপটপের যত্নাদি করলেও কিন্তু ডেক্সটপ কম্পিউটারের যন্ত করি না বললেই চলে। এর ফলে অনেক দিন পর হঠাৎ কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে যখন আমরা সিপিইউ এর কেসিং খুলি তখন ভেতরে প্রচুর
পরিমাণে ময়লা দেখতে পাই! অনেক দিন যাবত কম্পিউটার ব্যবহার না করলে মাকড়শার জ্বাল দেখাও অসম্ভব কিছু নয়! যাই হোক, আমাদের ডেস্কটপ কম্পিউটারের যত্নও করা উচিৎ নিয়মিত। কেননা যে কোন ইলেক্ট্রনিকস।
যদি আপনি যত্ন সহকারে ব্যবহার করেন তবে সেই ডিভাইসটি কিছুদিন হলেও আপনাকে বেশি সার্ভিস প্রদান করবে। চলুন, আজ একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার কীভাবে পরিষ্কার করতে হয় সেই প্রসেস আপনাদের জানাই।
মূলত কখন আপনার ডেস্কটপটি আপনার পরিষ্কার করা উচিৎ
ডেস্কটপ কম্পিউটারের কম্পোনেন্টগুলো ল্যাপটপের তুলনায় বেশি উত্তপ্ত হয় বিধায়, সেই উত্তাপ ছড়িয়ে যেন যায় এরজন্য কেসিং এর মধ্যে দু-তিনটি ফ্যান ব্যবহার করা হয়। দু-তিনটি ফ্যান ব্যবহারের মানে হচ্ছে দু-তিনটি খালি স্থান। আর খালি স্থান বেশি মানেই বেশি ডাস্ট আপনার সিপিইউ-এ প্রবেশ করবে। আপনি খেয়াল করবেন বাসার বুয়া প্রায় প্রতিদিনই বাসার ফার্নিচারগুলো মুছে থাকে, যদি একদিন মুছতে ভুলে যায় তাহলে আপনি নিজেই আঙ্গুল দিয়ে ফার্নিচারের উপর দাগ কাটলে দেখবেন আপনার হাতে ধুলো লাগছে! এখন আপনিই বলুন, এক দিন পরিষ্কার না করার ফলে যদি আপনার হাতে ময়লা লাগতে পারে (তা যত কমই হোক না কেন), তাহলে দিনের পর দিন ব্যবহার না করলে আপনার কম্পিউটারের কেসিং এর মাঝে কতটুকু ময়লা জমতে পারে?! পরিষ্কার রাখা যেহেতু একটি চর্চার ব্যাপার তাই আমার মতে অন্তত ৬ মাস পর পর ডেস্কটপ কম্পিউটারের সিপিইউ আপনার পরিষ্কার করা উচিৎ, আর যদি পারেন তবে ৩ মাস পর পর করবেন।
যেভাবে পরিষ্কার করবেন আপনার ডেস্কটপের সিপিইউ
আমি ভেঙ্গে ভেঙ্গে প্রতিটি কম্পোনেন্টকেই পরিষ্কার করার পদ্ধতি বলছি। আশা করি আপনার খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।
প্রথমে আপনার কেসিং পারলে সম্পুর্ণটি খুলুন। অনেকেই একটি সাইড খুলে পরিষ্কার করে থাকেন তবে এতে সম্পুর্ণভাবে পরিষ্কার হবেনা কখনোই। কেসিং খোলা কোন কঠিন কাজ নয়, ৫-১০ মিনিটের মাঝেই আপনি খুব সহজে একটি কেসিং-এর প্রতিটি অংশ খুলে ফেলতে পারবেন। এবার এক টুকরো কাপড় দিয়ে কেসিং এর ভিতরের সমস্ত জায়গা মুছে ফেলুন। আপনি যদি সম্পুর্ণ কেসিংটিই খুলে থাকেন তবে মোছার কাজ আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।
এরপর পাওয়ার সাপ্লাই খুলুন এবং পাওয়ার সাপ্লাই থেকে যাওয়া সমস্ত কানেকশন গুলো মাদারবোর্ড, হার্ড ড্রাইভ, সিডি/ডিভিডি রম ইত্যাদি থেকে খুলে ফেলুন। এরপর আপনি একটি শক্তিশালী ব্লোয়ার দিয়ে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ফ্যানের অন্য প্রান্তে একটি ভেন্ট দেখতে পারবেন, সেদিক থেকে হাওয়া ব্লো করুন। ফ্যানের সাইড দিয়ে দেখবেন অনেক ময়লা বের হয়ে যাচ্ছে। এরপর ফ্যানের দিকে ব্লোয়ারের সাকশন সাইড ব্যবহার করুন, বাকি ময়লা বের করে নেবে সহজেই। তবে শতভাগ ময়লা বের হবেনা এ পদ্ধতিতে, যতটুকু বের হবে সেটাই পর্যাপ্ত। এবার পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সাথে যে ক্যাবলে মাথাগুলো আছে সেগুলো পরিষ্কার করুন। একটি কাপড় দিয়ে পাওয়ার সাপ্লাই থেকে বের হওয়া ওয়্যারগুলোও মুছে ফেলতে পারেন।
পাওয়ার সাপ্লাই পরিষ্কার করার পর মাদারবোর্ড থেকে গ্রাফিক্স কার্ডটি খুলে ফেলুন (যদি থেকে থাকে)। এবার গ্রাফিক্স কার্ডটির ফ্যানে কিছুটা কোনাচে করে কমপ্রেসড এয়ার দিয়ে হাওয়া ব্লো করুন। ফ্যানের বিপরীতে করবেন না। আর ব্লোয়ার ব্যবহার করলে ব্লোয়ারের পাওয়ার কিছুটা কমিয়ে রাখবেন।
আপনি চাইলে প্রসেসরও এভাবেই পরিষ্কার করতে পারেন, মাদারবোর্ড থেকে না খুলেই উপর থেকে হাওয়া প্রয়োগের মাধ্যমে। তবে অনেকেই প্রসেসর এবং এর উপর থেকে কুলিং ফ্যান আলাদা আলাদা খুলে পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে মনে রাখবেন, প্রসেসর এবং এর কুলিং ফ্যানের মধ্যে থাকে থার্মাল পেস্ট। তাই আপনি যদি এই দুটি কম্পোনেন্ট আলাদা পরিষ্কার করেন তবে এগুলো পুনরায় কম্পিউটারে যুক্ত করার পূর্বে পূর্বের থার্মাল পেস্টটুকু মুছে ফেলে নতুন করে থার্মাল পেস্ট অ্যাপ্লাই করুন।
মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে হালকা ভাবে ব্রাশ করে ব্লোয়ারের পাওয়ার কম রেখে বাতাস দিলেই ময়লা খুব সহজেই চলে যাবে। তবে যদি কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে চান খেয়াল রাখবেন যেন খুব বেশি চাপ না পরে মাদারবোর্ডের উপর।
অন্যান্য যে সকল কম্পোনেন্ট গুলো যেগুলো রয়েছে সেগুলো পরিষ্কার করার তেমন কিছুই নেই, শুধু বাইরেরটা পরিষ্কার করবেন এবং কানেক্টরগুলো একটু পরিষ্কার করবেন।
সব কিছু পরিষ্কার হয়ে গেলে ভালো করে সাবধানে অ্যাসেম্বল করুন। ব্যাস, হয়ে গেল আপনার কম্পিউটারটি পরিষ্কার।
নোট: কম্পিউটারের সিপিইউ পরিষ্কার করার সময় সবগুলো প্রসেসই ধীরস্থির ভাবে করবেন। যদিও কম্পোনেন্ট গুলো খুব বেশি স্পর্শকাতর নয় তবে কানেক্টর থেকে বিচ্ছিন্ন এবং কানেক্ট করার সময় সমস্যা হতেই পারে। তাই আমার মতে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করাই শ্রেয় হবে।
পরিমাণে ময়লা দেখতে পাই! অনেক দিন যাবত কম্পিউটার ব্যবহার না করলে মাকড়শার জ্বাল দেখাও অসম্ভব কিছু নয়! যাই হোক, আমাদের ডেস্কটপ কম্পিউটারের যত্নও করা উচিৎ নিয়মিত। কেননা যে কোন ইলেক্ট্রনিকস।
যদি আপনি যত্ন সহকারে ব্যবহার করেন তবে সেই ডিভাইসটি কিছুদিন হলেও আপনাকে বেশি সার্ভিস প্রদান করবে। চলুন, আজ একটি ডেস্কটপ কম্পিউটার কীভাবে পরিষ্কার করতে হয় সেই প্রসেস আপনাদের জানাই।
মূলত কখন আপনার ডেস্কটপটি আপনার পরিষ্কার করা উচিৎ
ডেস্কটপ কম্পিউটারের কম্পোনেন্টগুলো ল্যাপটপের তুলনায় বেশি উত্তপ্ত হয় বিধায়, সেই উত্তাপ ছড়িয়ে যেন যায় এরজন্য কেসিং এর মধ্যে দু-তিনটি ফ্যান ব্যবহার করা হয়। দু-তিনটি ফ্যান ব্যবহারের মানে হচ্ছে দু-তিনটি খালি স্থান। আর খালি স্থান বেশি মানেই বেশি ডাস্ট আপনার সিপিইউ-এ প্রবেশ করবে। আপনি খেয়াল করবেন বাসার বুয়া প্রায় প্রতিদিনই বাসার ফার্নিচারগুলো মুছে থাকে, যদি একদিন মুছতে ভুলে যায় তাহলে আপনি নিজেই আঙ্গুল দিয়ে ফার্নিচারের উপর দাগ কাটলে দেখবেন আপনার হাতে ধুলো লাগছে! এখন আপনিই বলুন, এক দিন পরিষ্কার না করার ফলে যদি আপনার হাতে ময়লা লাগতে পারে (তা যত কমই হোক না কেন), তাহলে দিনের পর দিন ব্যবহার না করলে আপনার কম্পিউটারের কেসিং এর মাঝে কতটুকু ময়লা জমতে পারে?! পরিষ্কার রাখা যেহেতু একটি চর্চার ব্যাপার তাই আমার মতে অন্তত ৬ মাস পর পর ডেস্কটপ কম্পিউটারের সিপিইউ আপনার পরিষ্কার করা উচিৎ, আর যদি পারেন তবে ৩ মাস পর পর করবেন।
যেভাবে পরিষ্কার করবেন আপনার ডেস্কটপের সিপিইউ
আমি ভেঙ্গে ভেঙ্গে প্রতিটি কম্পোনেন্টকেই পরিষ্কার করার পদ্ধতি বলছি। আশা করি আপনার খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।
প্রথমে আপনার কেসিং পারলে সম্পুর্ণটি খুলুন। অনেকেই একটি সাইড খুলে পরিষ্কার করে থাকেন তবে এতে সম্পুর্ণভাবে পরিষ্কার হবেনা কখনোই। কেসিং খোলা কোন কঠিন কাজ নয়, ৫-১০ মিনিটের মাঝেই আপনি খুব সহজে একটি কেসিং-এর প্রতিটি অংশ খুলে ফেলতে পারবেন। এবার এক টুকরো কাপড় দিয়ে কেসিং এর ভিতরের সমস্ত জায়গা মুছে ফেলুন। আপনি যদি সম্পুর্ণ কেসিংটিই খুলে থাকেন তবে মোছার কাজ আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।
এরপর পাওয়ার সাপ্লাই খুলুন এবং পাওয়ার সাপ্লাই থেকে যাওয়া সমস্ত কানেকশন গুলো মাদারবোর্ড, হার্ড ড্রাইভ, সিডি/ডিভিডি রম ইত্যাদি থেকে খুলে ফেলুন। এরপর আপনি একটি শক্তিশালী ব্লোয়ার দিয়ে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ফ্যানের অন্য প্রান্তে একটি ভেন্ট দেখতে পারবেন, সেদিক থেকে হাওয়া ব্লো করুন। ফ্যানের সাইড দিয়ে দেখবেন অনেক ময়লা বের হয়ে যাচ্ছে। এরপর ফ্যানের দিকে ব্লোয়ারের সাকশন সাইড ব্যবহার করুন, বাকি ময়লা বের করে নেবে সহজেই। তবে শতভাগ ময়লা বের হবেনা এ পদ্ধতিতে, যতটুকু বের হবে সেটাই পর্যাপ্ত। এবার পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সাথে যে ক্যাবলে মাথাগুলো আছে সেগুলো পরিষ্কার করুন। একটি কাপড় দিয়ে পাওয়ার সাপ্লাই থেকে বের হওয়া ওয়্যারগুলোও মুছে ফেলতে পারেন।
পাওয়ার সাপ্লাই পরিষ্কার করার পর মাদারবোর্ড থেকে গ্রাফিক্স কার্ডটি খুলে ফেলুন (যদি থেকে থাকে)। এবার গ্রাফিক্স কার্ডটির ফ্যানে কিছুটা কোনাচে করে কমপ্রেসড এয়ার দিয়ে হাওয়া ব্লো করুন। ফ্যানের বিপরীতে করবেন না। আর ব্লোয়ার ব্যবহার করলে ব্লোয়ারের পাওয়ার কিছুটা কমিয়ে রাখবেন।
আপনি চাইলে প্রসেসরও এভাবেই পরিষ্কার করতে পারেন, মাদারবোর্ড থেকে না খুলেই উপর থেকে হাওয়া প্রয়োগের মাধ্যমে। তবে অনেকেই প্রসেসর এবং এর উপর থেকে কুলিং ফ্যান আলাদা আলাদা খুলে পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে মনে রাখবেন, প্রসেসর এবং এর কুলিং ফ্যানের মধ্যে থাকে থার্মাল পেস্ট। তাই আপনি যদি এই দুটি কম্পোনেন্ট আলাদা পরিষ্কার করেন তবে এগুলো পুনরায় কম্পিউটারে যুক্ত করার পূর্বে পূর্বের থার্মাল পেস্টটুকু মুছে ফেলে নতুন করে থার্মাল পেস্ট অ্যাপ্লাই করুন।
মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে হালকা ভাবে ব্রাশ করে ব্লোয়ারের পাওয়ার কম রেখে বাতাস দিলেই ময়লা খুব সহজেই চলে যাবে। তবে যদি কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে চান খেয়াল রাখবেন যেন খুব বেশি চাপ না পরে মাদারবোর্ডের উপর।
অন্যান্য যে সকল কম্পোনেন্ট গুলো যেগুলো রয়েছে সেগুলো পরিষ্কার করার তেমন কিছুই নেই, শুধু বাইরেরটা পরিষ্কার করবেন এবং কানেক্টরগুলো একটু পরিষ্কার করবেন।
সব কিছু পরিষ্কার হয়ে গেলে ভালো করে সাবধানে অ্যাসেম্বল করুন। ব্যাস, হয়ে গেল আপনার কম্পিউটারটি পরিষ্কার।
নোট: কম্পিউটারের সিপিইউ পরিষ্কার করার সময় সবগুলো প্রসেসই ধীরস্থির ভাবে করবেন। যদিও কম্পোনেন্ট গুলো খুব বেশি স্পর্শকাতর নয় তবে কানেক্টর থেকে বিচ্ছিন্ন এবং কানেক্ট করার সময় সমস্যা হতেই পারে। তাই আমার মতে বাড়তি সাবধানতা অবলম্বন করাই শ্রেয় হবে।