Blogger Widgets
Showing posts with label Tips & Trick. Show all posts
Showing posts with label Tips & Trick. Show all posts

মোবাইল পানিতে ভিজে গেলে কি করবেন?


শখের মোবাইল ফোন দুর্ঘটনাবশত পানিতে ভিজে গেলে খুব সাধারণ কিছু উপায়ে তা রক্ষা করা সম্ভব।
রাজধানীর ইস্টার্ন প্লাজার সাইম প্লাসের স্বত্বাধিকারী মো: কামাল হোসেন পরামর্শ দিতে গিয়ে বলেন, “বাজারে এখন বিশেষ ধরনের মোবাইল কভার পাওয়া যায়। এগুলো ব্যবহার করলে মোবাইলে পানি ঢোকার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।”
ভেজা মোবাইল রক্ষার বেশ কিছু সহজ উপায়ও জানালেন মো: কামাল হোসেন।
খুলে ফেলুন ব্যাটারি আর সিম
মোবাইল ভিজে গেলে সবার আগে যে কাজটি করবেন তা হচ্ছে ফোন থেকে ব্যাটারি খুলে ফেলুন। এটি করলে ফোনে শর্ট সার্কিট হওয়ার সম্ভাবনা কমে আসে। ব্যাটারির সঙ্গে সিম কার্ডটিও বের করে রাখুন। কারণ ভিজে যাওয়া সিম কার্ডও নষ্ট হতে পারে।
দ্রুত শুকানোর ব্যবস্থা করুন
ফোনের বাইরে লেগে থাকা পানি মুছতে ব্যবহার করুন পেপার টাওয়েল বা শুকনা কাপড়। ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের সাহায্যেও শুকাতে পারেন মোবাইল। তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের বাতাসের সঠিক মাত্রা ঠিক করে নেওয়া। তাই ভ্যাকুয়াম ক্লিনারে অভ্যস্থ না থাকলে এড়িয়ে চলুন এ উপায়। আবার সবার বাড়িতে এই যন্ত্র থাকেও না।
হেয়ার ড্রায়ার দিয়েও শুকাতে পারবেন মোবাইল। সেক্ষেত্রে ব্যাটারি খোলা অবস্থায় একটু উঁচু থেকে হেয়ার ড্রায়ার ধরে ফোন শুকানোর চেষ্টা করতে হবে। শুকানোর পর ফোন সঙ্গে সঙ্গে চালু করবেন না। বরং পরদিন সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে ফোনের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন।
 
ভালোভাবে শুকানোর জন্য ফোনের বাইরের কেসিং, কভার ইত্যাদি অবশ্যই খুলে রাখুন।
তবে ওভেন, মাইক্রোওভেন বা সূর্যের তাপে মোবাইল ফোন শুকানোর চেষ্টা করবেন না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, অনেক ক্ষেত্রে ফোন সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ভিজে যাওয়া মোবাইল থেকে পানি ঝরাতে অনেকেই ফোন জোরে ঝাঁকি দিয়ে থাকেন। এমনটিও করা উচিত নয়। তবে মৃদুভাবে ঝাঁকালে কোনো ক্ষতির সম্ভবনা নেই।
রাখতে পারেন চালের মধ্যে
চালের বস্তা বা পাত্রের মধ্যে কয়েকদিনের জন্য ফেলে রাখুন ভেজা মোবাইল। এ সময় ফোন চালু করবেন না বা ব্যাটারি লাগাবেন না। ভেজা জিনিসের পানি শুষে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে চাল। তাই এ প্রক্রিয়াতেও ভিজে যাওয়া মোবাইল শুকিয়ে নিতে পারেন।
মনে রাখা জরুরি
যদি দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে মোবা্ইল ফোন ভিজে যায়, অথবা অন্য যে কোনো কারণে যদি সার্ভিস সেন্টারে সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার উপায় না থাকে, তবে শুকানোর পরও মোবাইল চালু করবেন না। সময় সুযোগ মতো সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন ফোনের অবস্থা।
সার্ভিস সেন্টারের ক্ষেত্রে যে ব্র্যান্ডের ফোন সেখানে নিয়ে যাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। যদিও খরচা একটু বেশিই পড়বে সেখানে।
স্বল্পদামে ফোন ঠিক করতে সাধারণ সার্ভিস সেন্টারের সেবাও নিতে পারে। বাড়ির আশপাশের মোবাইলের দোকানগুলোতেই পাবেন এ সেবা।
তবে মোবাইল সার্ভিস করানোর আগে সেখানের কাজের মান, দক্ষতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া খুবই জরুরি।
The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA The Journal USA

SuperCopier দিয়ে ৪ গুন বেসি speed এ কপি করুন

SuperCopier দিয়ে ৪ গুন বেসি speed এ কপি করুন


At 4 times the speed reducing copy SuperCopier

আশা করি বন্ধুরা আপনারা সবাই ভাল আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজ আপনাদের কাছে হাজির হয়েছি অসাধারণ ১টি ট্রিকস নিয়ে যা আপনাদের সব সময় কাজে লাগে এবং সময় এর অপচয় থেকে বেচে যাবেন। প্রথমে SuperCopier টি না থাকলে ডাউনলোড করে নিন এর পর অনন্য softwer এর মত এটাও ইনিস্টল করে নিন কোন সমস্য হলে নিচের ভিডিও দেখুন এর পর ও যদি না হয় তাহলে আমাকে জানাবেন আমি আমার যথা সাধ্য চেস্টা করব হেল্প করার জন্য।আমি এ ভাবেই কপি করি আপনারও  এই নিয়মে কপি করে অনেক মজা পাবেন অনেক বড় বড় ফাইল অনেক অল্প সময়ে কপি করতে পারবেন।
আর SuperCopier না থাকলে এখান থেকে Download করে নিন আর কপি করুন  ৪ গুন বেসি speed এ
#প্রথমে Configuration এ ক্লিক করুন
#এরপর Advanced এ ক্লিক করুন
# এরপর Normal কে High করে দিন
# এরপর নিচের খালি ঘর ৩ টি তে সব ঘর  গুলোতে ১ অথবা ৫ করে দিন
#এবার অ্যাপ্লাই করে দিন কাজ শেষ এবার নিচে দেখুন কপির কি স্পীড

এই ট্রিকসটি আশাকরি সবার উপকারে আসবে। কোন সমস্যা হলে টিউমেন্ট করে জানাবেন।ভূল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন অথবা টিউমেন্টে বলবেন
 *** সবাই ভাল থাকবেন।

যে কোন গান খোজে বের ররুন ২০ সেকেন্ডে ছোট একটি Apps দিয়ে

যে কোন গান খোজে বের ররুন ২০ সেকেন্ডে ছোট একটি Apps দিয়ে

 Search Any Song With Shazam WhichPrice 5.66Dollors

আজ আপনাদের কাছে হাজির হয়েছি অসাধারণ মজাদার ও প্রয়োজনীয় একটি  apps নিয়ে যা আপনাদের সব সময় কাজে লাগবে…apps টি দিয়ে আপনি যে কোন গান খোজে বের ররুন ২০ সেকেন্ডে  নিচে কিছু নিচে কিছু  Screenshot দিলাম  ভালো লাগলে ডাউনলোড করতে চাইলে টিউমেন্ট বক্স এ link দিয়েছি ডাউনলোড করে নিবেন।Play Store এ এর দাম 5.66 $
#ডাউনলোড করে ইনিস্টল করলে এরকম আসবে এটা open করলে নিচের মত আসবে
# Touch to Shazam এ Click করুন
# যখন উপরের মত আসবে তখন আন্য মোবাইলে,বা টিভিতে একটা গান ছেরেছে সেই গানটি আপনার খুব ভালো লাগলো টিভি তে গান টি চলা আবস্থায় ২০ সেকেন্ডে আপনার টিভির স্পিকারের পাশে আপনার ফোন টি ধরুন তারপর দেখবেন গানটি চলে এসেছে এভাবে Bangla কিছু কিছু গান খুজে পাওয়া যায় না
# আমি আমার অন্য মোবাইল দিয়ে ২০  সেকেন্ডে একটি গান শুনালাম দেখোন উপরে চলে এসেছে  ভিডিও দেখতে VIDEO তে  Click করুন
# গান টি ডাউনলোড করতে চাইলে ১মে Setting এ Click করে Youtube এ Click করুন
# Share  এ Click করুন
# Tubemet দেখিয়ে দিন Download করতে, Tubemet apps টি ডাউনলোড করে নিবেন।
# যে ফরমেট ভালো লাগে ডাউনলোড করে নিবেন।

নবীন ব্লগারদের সফলতা অর্জনের কার্যকারী টিপস

নবীন ব্লগারদের সফলতা অর্জনের কার্যকারী টিপস

আপনি কি ব্লগিং শুরু করার কথা ভাবছেন? আপনাকে স্বাগতম! তবে হটাত করে ভেবে বসলেন আর ব্লগিং শুরু করলেন। তাহলে আপনার ব্লগিং ক্যারিয়ার খুব শীঘ্রই ১০০% হতাশায় পৌঁছাবে। তাই শুধু ব্লগিং না জীবনের প্রত্যেক সিদ্ধান্তে সবদিক বিবেচনা করুণ, সফলতা আসবেই। 
ব্লগ
অনেকেই এখনও ব্লগিং শুরু করেন নি। কিন্তু ব্লগিং শুরু করার পরিকল্পনা এবং স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। তাদের পরিকল্পনায় সফলতা এনে দিতে হয়ত কিছুটা হলেও এই পোস্ট কাজে আসবে আশা রাখছি। আর সেই আশা থেকেই আজ লিখছি নতুন কিংবা হবু ব্লগারদের জন্য প্রাথমিক কিছু টিপস।

১. ব্লগ সম্পর্কে জানুনঃ ব্লগ শুরু করবেন আর ব্লগ সম্পর্কে জানবেন না তা তো কিছুতেই হতে পারেনা। তাই আপনার ব্লগিং জীবনের শুরুর প্রথম ধাপ হল ভালোভাবে ব্লগিং সম্পর্কে জেনে নিন। ব্লগ কি?, ব্লগিং করে লাভ কি?, ব্লগিং করে কি আয় হয়?, ব্লগিং কিভাবে করে?, ব্লগিং করতে কি কি গুণ থাকতে হয়? ব্লগিং এর প্রকারভেদ কি কি? এই আর কি সবধরণের প্রাথমিক প্রশ্নের উত্তর জানুন। আর সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল যে, "আপনি কতদিন বা কত বছর যাবত ব্লগ পড়ছেন?" বেশি বেশি বই পড়লে যেমন লেখক হওয়া যায় ঠিক ব্লগিং শুরু করতে আপনার প্রয়োজন হবে দীর্ঘ সময়ব্যাপী ব্লগ পড়ার সম্পৃক্ততা।
ব্লগ সম্পর্কে জানুন


২. সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনাঃ
আপনি অনেকদিন ধরে ব্লগ পড়ছেন। এবার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন আপনি ব্লগ লিখবেন। তাহলে ব্লগিং জগতে আপনাকে স্বাগতম ! এবার একটি দক্ষ পরিকল্পনা করে ফেলুন। একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলতে যেমন অনেক পরিকল্পনা করতে হয় ঠিক তেমন পরিকল্পনা। পরিকল্পনার বিষয়গুলো হবেঃ কি বিষয়ে ব্লগিং করবেন, আপনি কি নিজের ব্লগ সাইটে ব্লগিং করবেন?, আপনি কি আয়ের জন্য ব্লগিং করবেন নাকি শখ মেটাতে? এবং শুরু করতে আরও ইত্যাদি ইত্যাদি যেসব বিষয় ভাবতে হয় সেগুলো দক্ষতার সাথে ভাবুন। তবে সবচেয়ে জোর দিন আপনি কিসের উপর ব্লগিং লিখতে চাচ্ছেন? এই প্রশ্নের সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য উত্তর হল, "আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন শুধু সেই বিষয়েই ব্লগিং লিখবেন।" অন্য কোন অজানা টপিকে ভুলেও হাত দিবেন না।

সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনা


৩. প্লাটফর্ম নির্বাচনঃ
ইতিমধ্যেই ২ নম্বর ধাপে আপনাকেদেরকে একটি প্রশ্ন করেছি। আপনি কি নিজের ব্লগ সাইটে ব্লগ লিখবেন নাকি অন্য প্রতিষ্ঠিত মাল্টি ব্লগিং সাইটে ব্লগ লিখবেন? আমি মূলত লিখছি আজকের পোস্ট নিজের ব্লগ সাইটে ব্লগিং নিয়ে। ধরে নিলাম আপনি নিজেই ব্লগ সাইট খুলে ব্লগিং করবেন। তারপর আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি কোন ব্লগিং প্লাটফর্ম -এ লিখবেন। বিশ্বের অন্যতম সেরা দু'টি ব্লগিং প্লাটফর্ম হল ওয়ার্ডপ্রেস এবং ব্লগস্পট। তবে আপনাকে প্রথমত ব্লগস্পট ব্যবহারের পরামর্শ দিব। ওয়ার্ডপ্রেস বিশ্বের এক নম্বর ব্লগিং প্লাটফর্ম তাতে কারোই সন্দেহ নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে ওয়ার্ডপ্রেস যেহেতু বড় প্লাটফর্ম তাই এতে ব্লগিং করতে হলে আপনার জ্ঞানও থাকতে হবে বড়। কিন্তু আপনি যেহেতু একেবারেই নবীন একজন ব্লগার তাই আপনার জন্য ব্লগস্পট সবচেয়ে কার্যকারী প্লাটফর্ম। অভিজ্ঞ হওয়ার পর আপনি ওয়ার্ডপ্রেসে হাত দিতে পারবেন সহজেই। তাই ছোট প্লাটফর্ম দিয়েই শুরু করুন। কারণ আগে স্বরবর্ণ শিখেই ব্যঞ্জনবর্ণতে হাত দিতে হয়।

ব্লগিং প্লাটফর্ম


৪. ডোমেইনঃ ব্লগস্পট একটি ফ্রি ব্লগিং প্লাটফর্ম। এতে ডোমেইন/হোস্টিং পুরো ফ্রি। কিন্তু ডোমেইনটি আপনাকে দেওয়া হয় সাধারণত সাবডোমেইন। তবে ব্লগস্পট আপনাকে আপনার নিজস্ব কেনা ডোমেইন ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে থাকে। আপনি যদি আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়ে থাকেন তবে একটি টপ লেভেল ডোমেইন (যেমনঃ ডট কম, ডট নেট, ডট অরগ, ডট ইনফো ইত্যাদি) কিনে নিতে পারেন। একটি ডোমেইন আপনি ৮০০-১০০০ টাকার মধ্যেই কিনতে পারবেন। আর যদি আপনি ডোমেইন কিনতে সমর্থ না হন তবে মন খারাপ করার কিছুই নেই পরবর্তীতে কিনে নিবেন। আমিও আর্থিক সমস্যার কারণে ব্লগ শুরুর ৬ মাস পর ডোমেইন কিনেছিলাম।

ডোমেইন


৫. ব্লগ ডিজাইনঃ ব্লগস্পটে ব্লগ ডিজাইন খুবই সহজ বলতে গেলে। ব্লগস্পটের ডিফল্ট টেমপ্লেট কাস্টমাইজ করা নতুনরা অল্পতেই শিখতে পারবেন। কিন্তু এক্সটারনাল টেমপ্লেট ব্যবহার করতে চাইলে আপনাকে এইচটিএমএল, সিএসএস এবং অন্যান্য কিছু ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হবে কাস্টমাইজ করার জন্য। ব্লগ ডিজাইন করতে আদর্শ হিসেবে বিভিন্ন ব্লগ সাইটের ডিজাইন অনুসরণ করতে পারেন। আপনি "ব্লগে নতুন" এই শব্দটা মনে কখনই প্রশ্রয় দিবেন না অন্তত ডিজাইনের ক্ষেত্রে। ডিজাইন করতে নিজেকে সবসময় মনে মনে প্রফেশনাল মনে করুন। খুবই সাদামাটার মাঝেও আকর্ষণীয় ব্লগ ডিজাইন করা সম্ভব। প্রফেশনাল ডিজাইনাররা মূলত এটাই করে থাকে। ব্লগ ভিজিটর কোন ধরণের ডিজাইন পছন্দ করে সেটি ভাবুন অথবা নিজে নিজেই ব্লগের ভিজিটর হোন এবং ঠিক করুন ব্লগটি কেমন ডিজাইনের হওয়া উচিত। এভাবেই সাদামাটা একটি আকর্ষণীয় ব্লগ ডিজাইন করে ফেলুন।

ব্লগ ডিজাইন


৬. কন্টেন্ট লেখাঃ ব্লগিং এর প্রাণ বা রক্ত যাই বলুন না কেন, কন্টেন্ট হল ব্লগিং এর মূল সম্পদ। এই ব্যাপারে আমি হাজারবার শুধু একটা কথাই বলব সেটা হল, "ইউনিক কন্টেন্ট লিখুন"। অর্থাৎ নিজে লিখুন। কোন ক্রমেই কপি পেস্ট করবেন না। কপি পেস্ট কন্টেন্টের ১% মূল্যও নেই। আপনার কাছে কপি পেস্টের কাছে বিশাল কিছু হলেও আপনি বাদে সবাই কপি পেস্ট কন্টেন্ট ঘৃণা করে। আরেকটা কথা বলব সেটা হল, "কপি পেস্ট কন্টেন্ট দিয়ে ব্লগ লিখে আর যাই কিছু হওয়া যাক না কেন অন্তত ব্লগার হওয়া যায়না"। তাই এদিক ওদিক না দেখে সুন্দর, সাবলীল ভাষায় নিজের কন্টেন্ট লিখুন ধারাবাহিকভাবে। আপনি যে টপিক লিখবেন সে বিষয়ে পাঠককে সুন্দরভাবে বুঝাতে যেরকমভাবে বুঝাতে হবে ঠিক সেভাবেই আপনার লেখনীর মাধ্যমে বুঝাবেন। বানান ভুল না করার যথেষ্ট চেষ্টা করবেন। গ্রামাটিক্যাল এবং বানান ভুল চেক করার জন্য বিভিন্ন সাইট রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

ইউনিক কন্টেন্ট


৭. এসইওঃ ব্লগের কন্টেন্ট লিখলেন সুন্দর সুন্দর কিন্তু ভিজিটর তো আপনার কন্টেন্ট সম্পর্কে এমনি এমনি জানবেনা। ইন্টারনেটের বেশিরভাগ ব্যবহারকারিরা কোন বিষয় জানতে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন সাইটে সার্চ করে। কিন্তু এখানেও সমস্যা আছে। কেউ সার্চ করল আর হাজার হাজার ব্লগের মাঝে আপনার ব্লগটি প্রথম সার্চ রেজাল্টে আনতেই কাজ করে এসইও। এসইও শব্দের অর্থ হল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। তাই ব্লগের জন্য কার্যকারী এসইও করতে পারলে আপনার ব্লগে আসতে থাকবে প্রচুর পরিমাণ পাঠক।

এসইও


পরিশেষে বলব, খুবই সহজ কয়েকটি কথায় আপনার নতুন ব্লগিং জীবনের জন্য কিছু টিপস দিলাম। জানিনা কতটুকু কাজে আসবে। তবে নিজের ব্লগিং জীবনের অভিজ্ঞতা থেকেই এসব টিপস আপনাদের জন্য শেয়ার করলাম। কিছুটা কাজে আসলে আমাকে দয়া করে জানাতে কার্পণ্যবোধ কখনই করবেন না। আপনার ব্লগিং জীবন সুন্দর, সার্থক হোক এই কামনায় শেষ করছি আজকের পোস্ট। সবাই ভালো থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ...

সাফল্য অর্জন করুন ব্লগিং জগতে

পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিতে জনপ্রিয় ফাইল শেয়ারিং সাইট গুগল ড্রাইভ, ওয়ান ড্রাইভ, ড্রপবক্স এবং কপি.কম সহ যেকোন কিছুর ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী করুন! না দেখলে ‘সহজ’ কথাটির সংজ্ঞা আপনার কাছে অজানা থাকবে সারা জীবন!!

সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি বর্তমান সময়ের সেরা কিছু ফাইল শেয়ারিং সাইট থেকে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী করার সব চেয়ে সহজ উপায় সম্বলিত আমার আজকের টিউন।
ফাইল শেয়ারিং প্রত্যেকটা প্রযুক্তি পিপাসুর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা যারা বিভিন্ন সময়ে টেকটিউনসে কোন কিছু ডাউনলোড সম্পর্কিত টিউন করি তখন আমাদের উক্ত ডাউনলোডের জন্য জনপ্রিয় কিছু শেয়ারিং সাইটে ফাইল আপলোড করে সেখান থেকে শেয়ার করতে হয়। কিন্তু প্রত্যেকবার আমাদের সামনে যে ঝামেলাটা হয় সেটা হলো যখন আমরা সেই পাবলিক লিংকগুলোতে ক্লিক করি তখন সেটা উক্ত ফাইল শেয়ারিং সাইটের নিজস্ব ওয়েব সাইটে গিয়ে তার ডাউনলোড অপশন আসে। কিন্তু আমার অনেক টিউনে আপনারা দেখেছেন যে ডাউনলোড অপশনে ক্লিক করা মাত্র ডাউনলোড শুরু হয়ে যায়। অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবে প্রশ্ন করেছিলেন যে সেটা কীভাবে করা যায়? আজকের টিউনে আমরা দেখবো কীভাবে খুব সহজে কোন কিছু ডাউনলোডের জন্য ডাইরেক্ট লিংক তৈরী করা যায়। যাতে ক্লিক করলেই ডাউনলোড শুরু হয়ে যায়। তবে টিউনটি শুরু করার পূর্বে আমি এতোটুকু অনুমান করে নিচ্ছি যে আপনারা কীভাবে ফাইল আপলোড করতে হয় এবং ডাউনলোড করতে হয় সেটা জানেন। কারন সেটা না জানলে আজকের টিউনটি মূল্যহীন মনে হবে। সহজ বিষয়টা আলোচনায় এনে টিউনের আকার আপাততো বাড়ালাম না।

গুগল ড্রাইভে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী

গুগল ড্রাইভ হলো বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফাইল শেয়ারিং প্লাটফর্ম। গুগল ড্রাইভ গুগল এর একটি সেবা বিধায় এটা নিয়ে বেশি কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে হচ্ছেনা। একটা গুগল ড্রাইভে প্রায় ১৫ গিগাবাইট ডাটা ফ্রি পাওয়া যায়। যাহোক, ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরীর জন্য নিচের নির্দেশনা অনুসরন।
  • যেকোন একটা ফাইল আপলোড করুন এবং আপলোড কমপ্লিট হলে সেটার উপর রাইট ক্লিক করে শেয়ার করুন। আপনি শেয়ারিং এর জন্য একটি URL পাবেন। চিত্রে দেখানো নির্দেশনার মতো খেয়াল রাখবেন যেন ফাইলটি পাবলিক করা থাকে। এবার URL টি কপি করুন। আপনার আসল কাজ শুরু হবে এখন।

  • ইমেজে নির্দেশিত URL টিতে লক্ষ্য করুন। এখানে "https://drive.google.com/file/d/" লেখাটির পরে এবং /edit?usp=sharing এর আগে পর্যন্ত একটি ইউনিক আইডি আছে। যেমন আমার এই চিত্রে  0B4pXonK4DQR5cFI0N3lHa2pSNEU আইডিটা আছে। আমাদের শুধুমাত্র এই আইডিটা লাগবে।
  • এখন আমাদের ফাইলের আইডিটা নিচের লিংকের FILE_ID এর জায়গায় পেস্ট করুন। তাহলেই ডাইরেক্ট লিংক তৈরী হয়ে যাবে।
"https://drive.google.com/uc?export=download&id=FILE_ID"
  • তারমানে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংকটি হবে ঠিক নিচের মতো।
"https://drive.google.com/uc?export=download&id=0B4pXonK4DQR5cFI0N3lHa2pSNEU"
  • এই লিংক আপনি এখন যেকোন জায়গায় শেয়ার করতে পারবেন। যে কেউ যদি উপরের লিংকে ক্লিক করে তাহলে গুগল ড্রাইভ উইন্ডো চালু না হয়ে ফাইলটি সরাসরি ডাউনলোড হওয়া শুরু করবে।

মাইক্রোসফট ওয়ান ড্রাইভে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী

আরও একটি জনপ্রিয় ফাইল শেয়ারিং সাইট হলো মাইক্রোসফটের ওয়ান ড্রাইভ। ৭ গিগাবাইট ফ্রি ফাইল শেয়ারিং এর সুবিধা যুক্ত এই সাইটটি মাইক্রোসফটের প্রত্যেকটা সেবার মতোই ব্যবহারকারীদের মন জয় করেছে। এবার আমরা দেখবো কীভাবে ওয়ান ড্রাইভের শেয়ার করা যেকোন ফাইলকে এক ক্লিকে ডাউনলোড করতে পারি।
  • যেকোন একটা ফাইল আপলোড করুন এবং আপলোড কমপ্লিট হলে সেটার উপর রাইট ক্লিক করে শেয়ার করুন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন ফাইলটি পাবলিক করা থাকে।

  • এবার Create Link এ ক্লিক করলে আপনি একটি URL পাবেন। মনে করি আপনার URL টি নিচের মতোন।
"https://onedrive.live.com/redir?resid=E61579C74A54100D%21166"
  • ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী করার জন্য কাজ খুবই অল্প। শুধুমাত্র redir? কথাটিকে download? দিয়ে রিপ্লেস করে দিন। এবার আপনার ফাইনাল লিংক হবে নিচের মতো যাতে ক্লিক করলেই অটোমেটেক ফাইল ডাউনলোড শুরু হবে।
"https://onedrive.live.com/download?resid=E61579C74A54100D%21166"

কপি.কম থেকে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী

এর আগে বর্ণিত গুগল ড্রাইভ কিংবা মাইক্রোসফট ওয়ান ড্রাইভে তৈরী করা ডাইরেক্ট লিংকগুলোতে ক্লিক করার পর ফাইল ডাউনলোড হতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগে। যদিও এটা খুব বেশি না তবে আমি চাচ্ছি ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করা মাত্র যেন ডাউনলোড শুরু হয়। কপি.কম থেকে শেয়ার করা ফাইলগুলোর জন্য আপনি এই সুবিধাটা পাবেন। ১৫ জিবি ফ্রি স্পেস এর এই কপি.কম তাই আমার কাছে সব চেয়ে ফেবারিট। চলুন তাহলে দেখে নেই কীভাবে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী করা যাবে।
  • যেকোন একটা ফাইল আপলোড করুন এবং আপলোড কমপ্লিট হলে সেটার উপর রাইট ক্লিক করে শেয়ার করুন। তারপর নিচের চিত্রের মতো করে URL টি কপি করে নিন। আমাদের কপি করা URL টি হলো - "https://copy.com/TOQYaOLGfQqY"।

  • এবার কপি করা URL ব্রাউজারে পেস্ট করুন এবং কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করার পরে এড্রেসবারে একটা নতুন URL পাবেন। এবার নতুনটি কপি করে রেখে পুরাতনটাকে ভুলে যেতে পারেন। মনে করি নতুন URL টি নিচের মতো।
"https://www.copy.com/s/TOQYaOLGfQqY/Alienware%20Eclipse%20Icons.zip"
  • এবার URL টি থেকে লাল চিহিৃত অংশগুলো মুছে ফেলুন। খেয়াল রাখবেন প্রত্যেকটা URL এ এরকম যতো অংশ পাবেন সবগুলো মুছে ফেলতে হবে। নতুন URL টি দেখতে নিচের মতো হবে। এটাই আপনার ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক যাতে ক্লিক করলেই ডাউনলোড শুরু হবে।
"http://copy.com/TOQYaOLGfQqY/Alienware%20Eclipse%20Icons.zip"

ড্রপবক্সে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী

ব্যক্তিগতভাবে ফাইল শেয়ারিং এর জন্য ড্রপবক্স খুব জনপ্রিয় একটি ফাইল শেয়ারিং সাইট। এখানে বিনামূল্যে ২জিবি ডাটা দেওয়া হয়। তবে কাউকে রেফার করলে তার জন্য দুজন ব্যক্তিই অতিরিক্ত ৫০০ মেগাবাইট করে ডাটা বোনাস হিসাবে পায়। অধিক পরিমাণ ডাটা শেয়ারের ক্ষেত্রে ব্যান্ডউইথ লিমিট থাকলেও সাধারন মানুষের কাছে ড্রপবক্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি নিজেও ড্রপবক্স দিয়ে প্রথম ফাইল শেয়ারিং শুরু করি। যাহোক, এবার আসল কথায় আসি। আমরা এখন দেখবো কীভাবে ড্রপবক্সে ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী করা যায়।
  • যেকোন একটা ফাইল আপলোড করুন এবং আপলোড কমপ্লিট হলে নিচের চিত্রের মতো সেটার উপর রাইট ক্লিক করে শেয়ার লিংক নির্বাচন করুন। তাহলে আপনার কম্পিউটারের ক্লিপবোর্ডে লিংকটি কপি হয়ে যাবে। মনে করি আমাদের লিংকটি নিচের মতো।
"www.dropbox.com/s/qmocfrco2t0d28o/Fluffbeast.docx"

  • ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী করার জন্য শুধুমাত্র লাল চিহিৃত অংশ অর্থাৎ "www.dropbox.com" লেখাটিকে "dl.dropboxusercontent.com" দিয়ে রিপ্লেস করে দিন। ব্যাস, আপনার ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক তৈরী। যেটা দেখতে নিচের মতো হবে।
"https:// dl.dropboxusercontent.com/s/qmocfrco2t0d28o/Fluffbeast.docx"

অন্যন্য যেকোন ফাইলের ডাইরেক্ট লিংক শেয়ার

অন্যন্য কিছু জিনিস ডাউনলোডের জন্য যখন আপনি ডাইরেক্ট লিংক শেয়ার করতে চাইবেন তখন ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার ব্যবহার করতে পারেন। অধিকাংশ ফাইল ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার লিংক থেকে ডাইরেক্ট ডাউনলোড করা যাবে। সুতরাং ডাইরেক্ট লিংকের জন্য নিচের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
  • প্রথমে কোন কিছু ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজার দিয়ে ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড শুরু হওয়ার পরে ইন্টারনেট ডাউনলোড ম্যানেজারের মেইন উইন্ডো হতে উক্ত ফাইলের লিংকের উপর ডাবল ক্লিক করুন।

  • এবার দেখবেন নিচের চিত্রে চিহিৃত জায়গায় উক্ত ফাইলের ডাইরেক্ট লিংক দেখা যাচ্ছে।

আশা করছি আপনারা সফলভাবে কাজটি করতে পেরেছেন। তবে আইডিএম লিংক প্রায় সবার জন্য উপযোগী। তবে দুই একটা ব্যতিক্রম আছে। যাহোক, বেশি বেশি ফাইল শেয়ার করে টেকটিউনস কমিউনিটিকে আরও সমৃদ্ধ করুন। এবং টিউনে কোন কিছু একবারে না বুঝলে বারবার পড়ুন।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

এখন থেকে ব্রাউজার এবং ডাউনলোড ম্যানেজার ছাড়া জাদুকরী উপায়ে প্রয়োজনীয় সব সফটওয়্যার ডাউনলোড করে অটোমেটিক ইনস্টল করুন! এবার সবাইকে চমকে দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করুন সত্যিকারের এক্সপার্ট!!

সুপ্রিয় টেকটিউনস কমিউনিটি, সবাইকে আমার শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি ব্রাউজার এবং ডাউনলোড ম্যানেজার ছাড়া জাদুকরী উপায়ে কম্পিউটারে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ডাউনলোড এবং অটোমেটিক ইনস্টলেশন সম্পর্কিত আমার আজকের টিউন।

আমরা যখন কম্পিউটারে কোন প্রোগ্রাম ইনস্টল করি তখন কেউ কখনো খেয়াল করিনা যে সেটা কীভাবে ইনস্টল হচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে আমরা প্রোগ্রাম ইনস্টলেশনের জন্য চিরাচরিত প্রথা মেনে আসছি। যখন কোন প্রোগ্রামের প্রয়োজন হয় তখন সেটাকে ওয়েব সাইটে সার্চ করি। তারপর তার EXE (Executable File) ফাইল কিংবা MSI (MicroSoft Installer) ফাইল ডাউনলোড করে সেটাকে ইনস্টল করার চেষ্টা করি। ইনস্টলেশনের ধাপগুলো এতোটাই দীর্ঘ যে ক্লিক ক্লিক ক্লিক ক্লিক দিতে দিতে বিরক্তির সীমা থাকেনা! যদিও এই পদ্ধতির কোন বিকল্প আমরা জানিনা বলেই কখনো এটাকে বিরক্তিকর বলে মনে হয়নি। আপনারা যারা লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করেন তারা সাধারনত কমান্ড (টার্মিনাল) ব্যবহার করে কোন প্রোগ্রাম কম্পিউটারে ইনস্টল করেন। এর জন্য অতিরিক্ত কোন ঝামেলা করতে হয়না। শুধু কমান্ড লিখলেই ব্যবহারকারীর অজান্তে কাঙ্খিত ফাইল ডাউনলোড হয়ে যায়। আমরা আজ দেখবো কীভাবে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে সব চেয়ে সহজ পদ্ধতিতে (দুইটা কমান্ডের সাহায্যে) কোন প্রকার ব্রাউজার এবং ডাউনলোড ম্যানেজার ছাড়া প্রোগ্রাম ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে পারি। আমাদের জন্য এই কাজটি করে দিবে Chocolatey নামের একটি কমান্ড লাইন অ্যাপ্লিকেশন। পানির মতো সহজ এই টিউনের পরবর্তি অংশে আপনারা এই Chocolatey ব্যবহারের সব পদ্ধতি জানতে পারবেন।

Chocolatey – কী কেন কীভাবে?

Chocolatey হলো একটি উইন্ডোজ ভিত্তিক এবং ডেভেলপার কেন্দ্রিক প্যাকেজ ম্যানেজার অ্যাপ্লিকেশন (কমান্ড লাইন) যাকে NuGet বলা হয়। সাধারনত অন্যন্য ম্যানুয়েল প্রোগ্রাম ইনস্টলেশনের চেয়ে ভিন্ন প্রক্রিয়ায় এবং ব্যবহারকারীদের কোন প্রকার ঝামেলায় না ফেলে Chocolatey নিভৃতে প্রোগ্রাম ইনস্টল করে থাকে। আপনি Chocolatey ব্যবহার করলে যেসব সুযোগ সুবিধা পাবেন সেগুলো সম্পর্কে আগে একটু আলোকপাত করে নিই।
  • Chocolatey এর রয়েছে নিজস্ব প্রজেক্ট কমিউনিটির দ্বারা তৈরী প্যাকেজ ফিড যা দৃষ্টির অন্তরালে আপনার কম্পিউটারের জন্য প্রয়োজনীয় এবং আপনার চাহিদা ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড এবং ইনস্টলে সাহায্য করবে।
  • অন্যন্য কামান্ডের মতো কোন কঠিন কমান্ড নেই। শুধুমাত্র ২টা কমান্ড ব্যবহার করে আপনি নিমিষেই Chocolatey সার্ভার থেকে প্রয়োজনীয় সহস্রাধিক অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে পারবেন।
  • শুধুমাত্র কমান্ড প্রম্পট ব্যবহার করে Chocolatey ব্যবহার করতে হবে। তাই অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড কিংবা ইনস্টলেশনের জন্য কোন প্রকার ব্রাউজার বা ডাউনলোড ম্যানেজারের প্রয়োজন নেই।
  • Chocolatey ইন্টারনেট থেকে সরাসরি কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়ায় প্রোগ্রাম ডাউনলোড করে। এবং উক্ত প্রোগ্রাম চালানোর জন্য যা কিছু প্রয়োজন সব এক সাথে ডাউনলোড এবং ইনস্টল হয়। (যেমন অনেক ক্ষেত্রে ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক রিকোয়ারমেন্ট থাকে)
  • Chocolatey এর সাহায্যে এক সাথে একাধিক প্রোগ্রাম ডাউনলোড এবং ইনস্টল করা যায়।
এবার মনে করুন আপনি একটা নতুন পিসি কিনলেন এবং এতে শুধুমাত্র Chocolatey ইনস্টল করলেন। আপনার সামনে এখান রয়েছে বিশাল এক সফটওয়্যার সমুদ্র। শুধু প্রোগ্রামগুলোর নাম লিখবেন এবং Chocolatey আপনাকে সাথে সাথে সেগুলো ডাউনলোড করে ইনস্টল করে দিবে। Chocolatey এর ব্যবহার এতোটাই সহজ যে আপনি নিজেই চমকে যাবেন যে, এতো এডভান্স লেভেলের কাজ এতো সহজে কীভাবে করা সম্ভব!

Chocolatey – ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া

Chocolatey ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া খুবই সাধারন। আপনি যদি কপি পেস্ট করতে জানেন তাহলেই Chocolatey ইনস্টল এবং ব্যবহার করতে পারবেন। Chocolatey ইনস্টলেশন প্রক্রিয়ার জন্য একটাই ধাপ। শুধুমাত্র কম্পিউটারের কমান্ড প্রম্পট (cmd) এডমিন হিসাবে চালু করুন এবং নিচের কোডগুলো কপি করে পেস্ট করুন। এবার এন্টার চেপে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। আশা করছি এতোটুকুতেই আপনার কাজ হয়ে যাবে।
@powershell -NoProfile -ExecutionPolicy unrestricted -Command "iex ((new-object net.webclient).DownloadString('https://chocolatey.org/install.ps1'))" && SET PATH=%PATH%;%ALLUSERSPROFILE%\chocolatey\bin
আমার কেন জানি মনে হচ্ছে নতুন ব্যবহারকারীদের কাছে এখনো বিষয়টা কঠিন লাগছে! তো তাদের জন্য নিচের ধাপগুলো দ্রষ্টব্য-
  • প্রথমে কম্পিউটারের স্টার্টমেনু থেকে All Programs > Accessories > Command Prompt এ মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে নিচের চিত্রের মতো Run As Admin অপশনে ক্লিক করুন।

  • এবার নিচের চিত্রের মতো কমান্ড প্রম্পট ওপেন হলে উপরে বর্ণিত কোডগুলো মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করে পেস্ট করে দিন। পেস্ট হয়ে গেলে এন্টার চাপুন।

  • কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর নিচের চিত্রের মতো Chocolatey কপি এবং ইনস্টল হওয়ার চিত্র দেখতে পাবেন। আপনাকে অবশ্য এখানে কিছুই করতে হবেনা।

আশা করছি আপনারা সবাই সফলভাবে Chocolatey ইনস্টল করতে পেরেছেন। তাছাড়া এটা আহামরি কঠিন কোন বিষয়টা না যে আপনারা পারবেন না। তবে অনুরোধ একটাই, কেউ অকারন ভয় পাবেন না।

Chocolatey এর সাহায্যে যেভাবে প্রোগ্রাম ডাউনলোড এবং ইনস্টল করবেন

আপনি যে Chocolatey ইনস্টল হতে দেখেছেন এতোটুকুই মনে রাখার বিষয়। নাহলে Chocolatey প্রোগ্রামটি কে আপনি কোনদিন চোখেও দেখবেন না। এটা মুলত একটা ফ্রেমওয়ার্কের মতো কাজ করে। আপনি যখনই কোন শর্ট কমান্ড লিখবেন Chocolatey সেটাকে কাজে রূপান্তরিত করে দিবে। এর সাহায্যে কোন প্রোগ্রাম ডাউনলোড এবং ইনস্টল করা এতোটাই সহজ যে এর তুলনায় কম্পিউটারে Chocolatey ইনস্টল করাটাই তুলনামূলকভাবে কঠিন। যাহোক, আপনারা যেহেতু কঠিন কাজটি করেছেন সুতরাং সহজ বিষয়টা নিয়ে এতো মাথা ঘামাতে হবে না। এর সাহায্যে প্রোগ্রাম ডাউনলোড এবং ইনস্টল প্রক্রিয়া নিম্নরূপ-
  • Chocolatey এর সাহায্যে কোন প্রোগ্রাম ডাউনলোড এবং ইনস্টলের জন্য (cinst অথবা choco install) দুটোর যেকোন একটি কমান্ড আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
  • এর মানে হলো ধরুন আপনি কম্পিউটারে skype ইনস্টল করতে চাচ্ছেন তাহলে এডমিন হিসাবে রান করা কমান্ড প্রম্পটে cinst skype অথবা choco install skype লিখে এন্টার চাপলেই স্কাইপ ডাউনলোড এবং ইনস্টল হওয়া শুরু করবে। এই কমান্ডটি বুঝার জন্য নিচের চিত্র দেখুন।

  • স্কাইপ ডাউনলোডের প্রক্রিয়া শুরু হলেই নিচের মতো চিত্র দেখতে পারবেন। ডাউনলোড শেষে ফাইলটি নিজে থেকেই ব্যাকগ্রাউন্ডে ইনস্টল হয়ে যাবে। তবে সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত কমান্ড প্রম্পটি বন্ধ করা যাবে না।

  • তবে মাঝপথে নিচের মতো করে কনফার্মেশন চাইলে ১ চেপে এন্টার দিন। এর ফলে Chocolatey এর স্ক্রিপ্ট রান করার অনুমতির দেওয়া হবে।

  • মনে করি, আপনি vlc, ccleander কিংবা 7zip সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করতে চান তাহলে তাদের জন্য কমান্ডগুলো হবে যথাক্রমে cinst vlc অথবা choco install vlc, cinst ccleaner অথবা choco install ccleaner এবং cinst 7zip অথবা choco install 7zip ইত্যাদি। এরকম প্রয়োজনীয় সব প্রোগ্রামকে তাদের নাম লিখে ডাউনলোড এবং ইনস্টল করতে পারবেন।
  • কোন একটা প্রোগ্রাম Chocolatey এর সার্ভারে আছে কিনা জানার জন্য কমান্ড প্রম্পটে choco search [keyword] টাইপ করুন অর্থাৎ যদি ccleaner খুঁজতে চান তাহলে শুধুমাত্র choco search [ccleaner] লিখে এন্টার দিলেই জানতে পারবেন সার্ভারে ccleaner আছে কিনা।
  • Chocolatey এর সার্ভারে কোন কোন প্রোগ্রাম আছে এবং যেগুলো কতোবার ডাউনলোড করা হয়েছে জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন। আপনি আশ্চর্য হয়ে যাবেন এটা দেখে যে, কতো লোক Chocolatey ব্যবহার করে!!!
  • একাধিক সফটওয়্যার ইনস্টলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কমান্ডের পর সেগুলোর নাম পরপর লিখুন। যেমন আমি চাচ্ছি একই সাথে vlc, gimp এবং Firefox ডাউনলোড করবো। তাহলে কমান্ড হবে এরকম- cinst vlc gimp Firefox অথবা install choco vlc gimp Firefox।
  • কোন প্যাকেজ আনইনস্টল করে দিতে চাইলে choco uninstall লিখে তারপর প্যাকেজের নাম লিখুন। যেমন Firefox এর জন্য লিখতে হবে choco uninstall Firefox। আশা করি এবার পুরোপুরি বুঝতে পেরেছেন।
আজকের টিউনের বিষয়বস্তু টেকটিউনস পরিবারের কাছে সম্পূর্ণ নতুন। আর আমাদের এই কমিউনিটিতে নতুনকে ভয় পায় এরকম লোকের যেমন অভাব নেই তেমনি নতুনকে পুঁজি করে আরও নতুনকে জানার জন্য আগ্রহী লোকেরও কোন অভাব নেই। আপনারা কে কোন দলে আছেন সেটা আজ আপনাদের টিউমেন্ট দেখেই বুঝা যাবে। আশা করছি টিউন শেষে আপনাদের নতুনের প্রতি আগ্রহ ভিন্ন অনাগ্রহ যেন না দেখতে হয়।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আসুন আমরা কপি পেস্ট করা বর্জন করি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

কিছু কথা
এই
সাইটে দেয়া সকল ইনকাম করার টিপস,প্রক্রিয়া/পদ্ধতি এখানে দেয়া ইনকাম করার সাইট সব বিশ্বস্ত এখানে কোন ভুয়া টিপস বা সাইট নিয়ে পোষ্ট করা হয় না ।। ইনকাম করার সকল পদ্ধতি এখানে শিখানো হবে এবং সেই পদ্ধতি গুলো ১০০% সত্যি যে সাইট গুলো সত্যি পেমেন্ট দেই শুধুমাত্র সেই সাইট গুলো থেকে কিভাবে ইনকাম করবেন তা নিয়ে এখানে পোষ্ট করা হয়। তাই এখানকার সকল ইনকাম করার রাস্তা আপনি নির্দিধায় অনুসরন করতে পারেন

আর ছোট খাট হেল্প এর জন্য আমার দেয়া রিফারেল লিংক দিয়ে সকল ইনকাম করার সাইটে রেজিস্ট্রেশন করবেন

***নতুন নতুন ইনকাম করার ওয়ে শিখতে আমাদের সাথেই থাকুন

Popular Posts

Categories

Tips & Trick টিপস এন্ড ট্রিকস Blogspot Download ইন্টারনেট বাংলালিংক Make Money Online tips Blogger Computer Earn Without Investment Neobux TELECOMMUNICATION অনলাইন একের ভিতর সব ওয়েব ডিজাইন গুগল মেইল গ্রামীণফোন ডাউনলোড নেটওয়ার্ক বাংলালিংক সিম মোবাইল মোবাইলীয় Advance Computer Operating Affiliates Marketing Apps Audio Editor Awesome Cursors for Bloggers BD JOBS Computer Guru Copy Direct Link Data Recovery Software Design Earn Money Online Facebook File Management File arrangement Free Full Verified Paypal GP Internet Tips GP MB এর মেয়াদ বাড়ানো Gokano.com Gp eid Offer Gp flexi plane Headphone Internet Tips Internet Trick Jobs Keyboard Shortcut Link Generator MS word MS word Keyboard Shortcut Messager Mining site Mobile Net Speed Online Jobs PC Solve PDF Editor PDF Reader PDF Tools Paid Apps Payoneer Paypal SEO Sitemap Software Web Hacking Windows Windows Doctor Windows Problem Solve bangladeshi domain hosting cheap domain hosting daily income domain-hosting gp free 1gb 7 days gp free 1gb data gp free 1gb internet bonus gp free 1gb internet offer by referring friends gp free 250mb data gp offer grameenphone free 1GB internet new gp offer torrent to idm tutorial what will you do youtube tricks অটো রিফ্রেশ অফার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আমার টিউন্স ইউটিউব ইউটিউব ট্রিক ইলেকট্রনিক গেজেট ইলেক্ট্রনিক্স ওপেন সোর্স ওয়াইফাই ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ওয়েব ব্রাউজার ওয়েব সাইট কম্পিউটার করবেন না কাজ ক্ষতিকর দিক গুরুত্বপূর্ণ জেনে রাখুন টরেন্ট (torrent) ফাইল ডাউনলোড করুন আইডিএম ব্যবহার করে টিউটোরিয়াল টিপস ডেস্কটপ টিপস তথ্য প্রযুক্তি দৈনিক আয় নতুন ও বন্ধ সিম নতুন পদ্বতি নাম ও লিঙ্ক নিরাপদ নেটওয়ার্কিং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া পাসওয়ার্ড প্রযুক্তি প্রয়োজনীয় ওয়েবসাইট ফ্রি ফ্রি ইন্টারনেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি তথ্য বুকমার্ক ব্যাকআপ ব্লগ সাইট মাউস নষ্ট হলে কি করবেন মাস্টারকার্ড রাউটার রেজিষ্ট্রেশন সংগ্রহ. বাংলাদেশী. ডোমেইন/হোস্টিং. প্রভাইডার. তালিকা .A টু Z সচেতন হোন সাবধান হোন সিম ক্লোনিং সেলফি স্টিক হার্ড ড্রাইভ হেডফোন হ্যাকিং ১GB ৫ টাকায়

Blog Archive

Contact Form

Name

Email *

Message *